পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট পদটি লাভজনক নয়। তাই দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আইনে আছে যে দুদক কমিশনাররা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারেন না। প্রেসিডেন্ট পদ লাভজনক নাকি লাভজনক নয়,এটি নিয়েও একটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে ইসির ব্যাখ্যা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি মো. আলমগীর বলেন, দুদকের আইনে বলা আছে, কমিশনাররা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনারা জানবেন যে, নির্বাচন কমিশন যখন এটা করেছে,তখন আইন-কানুন জেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ যখন প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন তখন এটি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।
তিনি বলেন, যেহেতু ওই সময়ে একটি মামলা হয়েছিল এবং ওই মামলায় হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেখানে বলা আছে, এতে কোনো বাধা নেই এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও হয়নি। যেহেতু আমাদের সামনে উচ্চ আদালতের একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে, প্রেসিডেন্টের পদকে লাভজনক পদ বলা যাবে না। ওই রায়ে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে বোঝাবে, প্রজাতন্ত্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের। এটি স্পষ্ট বলা আছে। এটি উনার ( মো. সাহাবুদ্দিন) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে উনার আইনগত কোনো বাধা নেই।
আলমগীর বলেন, একটা জিনিস বুঝতে হবে, লাভজনক পদের বিষয়ে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে কী বোঝায়, যদিও তালিকা দেওয়া নেই। তবে লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ শতাংশের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ। এখানে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী, উনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী না। এগুলো হলো- সাংবিধানিক পদ। যেহেতু সাংবিধানিক পদ তো আর লাভজনক পদের ডেফিনেশনে (সংজ্ঞা) পড়ে না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো- হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যেহেতু ওখানে রায়ে বলা আছে, বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের ক্ষেত্রে উনি যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার সময় মামলা হয়, তখন এ মামলাটা খারিজ হয়ে গিয়েছিল এবং আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, মহামান্য প্রেসিডেন্টের পদটি লাভজনক পদ নয়। এটি সাংবিধানিক পদ। অতএব এটি তার জন্য বাধা হবে না।
গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তাকে বাছাইয়ের দিন গত১৩ ফেব্রæয়ারি নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট করা হয়। আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হলো না কি না বা বিষয়টি আইনসিদ্ধ হলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই আইনসিদ্ধ। আইনে স্পষ্ট লেখা আছে যে, যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে এবং মনোনয়নপত্র বাছাই করার পরে যদি দেখা যায় যে, মনোনয়নপত্র সঠিক ও বৈধ, তাহলে ওই সময় তাকে নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আর প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, আমরা কখনো বলিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমরা বলেছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কখন ভোট হবে, কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে তা চূড়ান্ত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।