পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগে শুধু নারী-পুরুষ লেখার সুযোগ থাকলেও এবার সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ পরিচিতির জায়গায় প্রথমবারের মতো ‘হিজড়া’ শব্দটি যুক্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে ‘হিজড়া’ পরিচয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীরা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করে সম্প্রতি এই বিধানটি যুক্ত করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯৪ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালার ১১ বিধি অধিকতর সংশোধন করল নির্বাচন কমিশন।
হিজড়া জনগোষ্ঠী দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো আইন সংশোধন করে ‘হিজড়া’ শব্দটি ভোটার নিবন্ধন ফরমে যোগ করেন। পরবর্তীতে হিজড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষে সংসদ নির্বাচনে লড়াই করার দাবি জানানো হয় বর্তমান কমিশনের কাছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাৎ করে ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের উন্নয়ন সংগঠন ‘সুস্থ জীবন’ এই দাবি জানান।
জানা গেছে, ওই বৈঠকের পর কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে। পরবর্তীতে আইনে কীভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে বিষয়টিও খুঁজে বের করা হয়। যার ফলশ্রুতিতেই সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন আনা হলো।
এই সংশোধনের ফলে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব পরিচয়েই সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র থেকেও যেমন প্রার্থী হতে পারবেন, তেমনি কোনো দল থেকেও এই পরিচয়ে প্রার্থী হতে পারবেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।