Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মাও. মুহিউদ্দীন খান (রহ.) ছিলেন সত্য পথের সাহসী পথিক আলোচনা সভায় বক্তাগণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি ফরাশগঞ্জ লালকুঠি হলে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট সীরাত গবেষক, মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.) জীবন ও কর্ম শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ এ কথা বলেন। ইসলামের প্রচার-প্রসারে তিনি ছিলেন সদা সাহসী ও তৎপর। লেখা, বলা, বয়ান ও বক্তৃতায় এ সময়ে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। অনন্য সাধারণ এ মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই। তিনি লেখক, গবেষক ও চিন্তাবিদ আলেম তৈরির জন্য ফরিদাবাদ মাদরাসায় প্রতিষ্ঠিত ইদারাতুল মাআরিফের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। সীরাত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত সভায় মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামীদ বলেন, ইসলামের জন্য আন্দোলন, সংগ্রামে মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের কোনো জড়তা ছিল না। আজ যে রোহিঙ্গারা চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তার প্রতিবাদ ও প্রতিকারের জন্য মাওলানা মুহিউদ্দীন খান বেঁচে থাকলে আরো দৃঢ়ভাবে মাঠে নামতেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, ইসলামের দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে যে সকল হীরকখÐের জন্ম হয়েছে, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান তাদের অন্যতম। ইসলামের প্রয়োজনে যখন যে সংগঠন ও কমিটির প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, তিনি সে সংগঠন ও কমিটি করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত দারুল উলূম একাডেমিই বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তাঁর একটি ইচ্ছা ছিল, আলেম-উলামারা যেন পল্টন কেন্দ্রিক দীনী তৎপরতা চালু করে। সে জন্য তিনি এক সময়ে পল্টনে অফিস নেন। এর কারণ ছিল, বামপন্থী ও ধর্মবিরোধীদের পল্টন কেন্দ্রিক বাড়-বাড়ন্ত অবস্থা।
প্রবীণ আলেম, মাসিক নেয়ামতের প্রাক্তন সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী বলেন, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.) কর্তৃক অনূদিত মাআরিফুল কোরআন বংলা ভাষাভাষীদের জন্য কোরআন চর্চার দুয়ার খুলে দেয়। তার অনূদিত মাআরিফুল কোরআনের দ্বারা আল্লাহ তাআলা এদেশে মনগড়া তাফসীর তাফহীমুল কোরআনের বিস্তার রোধ করেন। তিনি আমার আট দশ বছরের সিনিয়র ছিলেন। আল্লাহ তার কবরে চির প্রশান্তি দান করুন।
আলোচক মাওলানা যাইনুল আবিদীন বলেন, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.) ছিলেন ইতিবাচক চিন্তার পথিকৃৎ। তার কাছে কেউ লেখা নিয়ে এলে সাহস যোগাতেন। যত খারাপ লেখাই হোক না কেন তিনি বলতেন, ‘আপনার লেখা হয়। আরেকটু চেষ্টা করলে হয়ে যাবে।’ এভাবে তিনি অনেক লেখক সৃষ্টি করে গেছেন। মুফতী মুহাম্মদ ইমাদুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ইমদাদুল ইসলাম, মুফতী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আমীমুল এহসান, মুফতী মুহাম্মদ তৈয়্যব, মাওলানা আব্দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা হাবীবুর রহমান খান, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, মাওলানা শিব্বীর আহমদ, আবু দাউদ মুহাম্মদ যাকারিয়া, মাওলানা নোমান কাসেমী, মোস্তফা মঈনুদ্দীন খান, মোরতাজা বশীরুদ্দীন খান, আহমদ বদরুদ্দীন খান, সৈয়দ সালীমুর রহমান এবং নাছির মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মুফতী মুজিবুর রহমান, মাওলানা নোমান ও ওয়ালিউল্লাহ আব্দুল জলীল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বক্তাগণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ