Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তমদ্দুন মজলিসের আলোচনা সভায় বক্তাগণ কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলী ছিলেন জাতীয় সাংস্কৃতিক জাগরণের অগ্রদূত

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে খ্যাতনাম অপর কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, শুধু গল্পকার হিসাবেই নয়, সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও অধ্যাপক শাহেদ আলীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। এদেশের জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি অন্যতম পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন। বক্তারা বলেন, যদিও এদেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাসেম, তমদ্দুন মজলিসের মেনিফেস্টো-রূপী গ্রন্থকমাত্র পথ” এর রচিয়তা ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ও অধ্যাপক শাহেদ আলী। সে নিরিখে কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলীকে বলা যেতে পারে তমদ্দুন মজলিসের সেকেন্ড ফাউন্ডার ফাদার তথা দ্বিতীয় পিতৃ-পুরুষ। তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর যে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, তার প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি। একজন মননশীল গদ্যলেখক হিসাবেও তাঁর ছিল অসাধারণ ভূমিকা। জীবন-রসিক, মাটির কাছাকাছি গল্প পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়, এছাড়াও মক্কার পথ, ইতিবৃত্ত, ইসলামে রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বরূপ প্রভৃতি গ্রন্থানুবাদ করে তিনি বাংলা অনুবাদ সাহিত্যকেও বিপুল ভাবে সমৃদ্ধ করেন।
বক্তাগণ আরো বলেন, ব্যক্তি হিসাবে তিনি ছিলেন অসাধারণ অমায়িক। যারাই তাঁর সম্পর্কে যেতেন, তারা তার ব্যবহারে মুগ্ধ না হয়ে পারেন নি। তার অমায়িক ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি অসংখ্য সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী তৈরী করে গেছেন। এছাড়া সাধারণ মানুষের সাথেও তাঁর ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি তদান্তীন শাসক দল মুসলিম লীগ ও যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে ত্রিমুখী যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
এ ছাড়াও বক্তারা বলেন, এসব গুণীজনদের আমরণ করে রাখার জন্য দেশের ও বিদেশের বিত্তবানদের উচিত তারা যেন নোবেল প্রাইজের ন্যায় একটি প্রাইজের প্রচলন করে, এসব গুণীজনদের সাহিত্যকর্মকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াস চালান।
গতকাল বিকাল ৪টায় তমদ্দুন মজলিসের মালিবাগ মোড়স্থ মহানগর কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে মোহাম্মদ সুজন মাহমুদের সঞ্চলনায় এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মরহুম শাহেদ আলীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, প্রবীণ সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা, ছোটগল্প, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীতে অংশগ্রহণ করেন, জনাব মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন খান, অধ্যাপক হাসান আব্দুল কাইয়ুম, জনাব ক্যাপ্টেন রেজাউল করিম, মোহাম্মদ আদেলউদ্দিন আল মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার শওকত আজিজ, মোঃ জামসেদ হোসেন রিয়াদ, মোঃ টিপু সুলতান, কাজী আশিকুর রহমান তামিম প্রমূখ। Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তমদ্দুন মজলিসের আলোচনা সভায় বক্তাগণ কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলী ছিলেন জাতীয় সাংস্কৃতিক জাগরণে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ