Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তমদ্দুন মজলিসের আলোচনা সভায় বক্তাগণ নজরুল সাম্য ও সহাবস্থানের কবি

প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও সহাবস্থানের কবি। ১৯২২ সালে ধুমকেতু পত্রিকায় সমগ্র ভারতবর্ষের পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কাজী নজরুল। এ কারণেই তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সাহিত্যের এমন কোনো অধ্যায় নেই যেখানে নজরুলের পদচারণা ছিল না। তিনি একাধারে কবি, লেখক, গীতিকার, গায়ক, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার, অভিনেতা ও সাংবাদিকতায় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন।
বক্তারা বলেন, সর্বগুণে গুণান্বিত ব্যক্তিকে আমরা সঠিকভাবে কদর করতে পারছি না। জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফডিসিতে নজরুলের কোনো নামফলক নেই। বাংলাদেশের সংবিধানেও নজরুলের জাতীয় কবির স্বীকৃতি নেই। জাতি হিসাবে আসলেই এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।
বক্তারা আরো বলেন, নজরুল জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই ভালোবাসতেন এবং সকলের জন্যই তিনি তার লেখা উৎসর্গ করেছেন।
গতকাল রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত, ‘নজরুল সাম্য ও সহাবস্থানের কবি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত ও সাহিত্য ব্যক্তিত্ব মুস্তফা জামান আব্বাসী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুর। এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শেখ দরবার আলম, মিন্টু রহমান, সংগীত শিল্পী শবনম মুশতারী, সাংবাদিক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, শফি চাকলাদার, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন খান, ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক, ড. একরামুল ইসলাম আদেলউদ্দিন আল মাহমুদ প্রমুখ। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তমদ্দুন মজলিসের আলোচনা সভায় বক্তাগণ নজরুল সাম্য ও সহাবস্থানের কবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ