পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অগ্নিকাণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের এক মাস পরেও সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে মিলছে হাড়গোড়-দেহাবশেষ। গতকাল বুধবার আরও একজনের দেহাবশেষ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ডিপো শেড সংস্কারের জন্য ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করার সময় আগুনে পোড়া মাথার খুলি ও হাড় পাওয়া গেছে। এর আগে গত সোমবার বিকালে আরও একজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল ওই ডিপো থেকে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল করিম বলেন, ডিপো শ্রমিকরা শেড পরিষ্কার করার সময় হাড়গোড় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহণের পর সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ প্রোফাইল করার জন্য পাঠানো হবে।
গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নেভানো হয়। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত হয়েছেন চার শত মানুষ। ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিখোঁজ অনেকে।
গত ৭ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পরদিন সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন। সেদিন সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরও দু’জনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। সর্বশেষ ১২ জুন ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম। আর চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে মারা যান কন্টেইনার ডিপোর আরেক কর্মী নুরুল কাদের। এছাড়া ১৩ জুন ও ৪ জুলাই আরও দুইটি দেহাবশেষ উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।