পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়। রোববার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে ওইসিডিভুক্ত ১৪টি দেশের কূটনৈতিকদের বৈঠক শেষে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উন্নত ৩৮টি দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক সংগঠন হচ্ছে ওইসিডি। এ সংগঠনের ১৫টি দেশের কূটনৈতিকদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ১৪টি দেশের প্রতিনিধি এতে অংশ গ্রহণ করে।
বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের পক্ষে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, দেশের গণতন্ত্র আরও কার্যকর ও শক্তিশালী, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিতে সহায়ক অবস্থা তৈরি এবং সব অংশীজনের যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ওইসিডিভুক্ত দেশগুলো ইসিকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাকে আরও শাক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে নাগরিকদের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে সহায়তা করতে চায় ওইসিডি সদস্য দেশগুলো। ওইসিডি প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ননের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তোরান এবং জাপানের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোয়ুকি।
এছাড়া বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চলতি বছর ৮ জুন ও ২৬ জুন যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিুল আউয়াল বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা নেব। এক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কারিগরি সহায়তা নেওয়া হতে পারে।
সিইসি বলেন, উনারা এসেছেন এটা একটা ট্রেডিশন। আগেও এসেছেন তারই ধাবাবাহিকতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। উনার সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। সেজন্যই উনারা ইলেকশনটা যদি ইনক্লুসিভ, একসেপ্টবল, ফ্রি ও ফেয়ার হয় তাহলে উনারাও খুশি হবেন, পুরো দেশবাসী খুশি হবেন এ আশাবাদ উনারা ব্যক্ত করেছেন। আমরা আমাদের দিকে থেকে ইলেকশন কমিশন হিসেবে যা যা করণীয় করবো। উনারা প্লিজড। বলেছি ভবিষ্যতেও যখন প্রয়োজন হয় আসবেন।
কোনো সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা কিছু বলেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ওনারা যেটা বলেছে সহযোগিতা করার কথা। আমরা চট করেই নিজেরা কিছু বলিনি। আমরা বলেছি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখবো। কোনো টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা উনাদের জানাবো। কী ধরনের সহযোগিতা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলেছি সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখবো। আমরা এখনো সহযোগিতা চায়নি।
সক্ষমতা বাড়ানোর সহযোগিতা নাকি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা ইলেকশন রিলেটেড। যেটা হতে পারে ভোটার এডুকেশন, ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয় হতে পারে। আমি তো বলেছি আমরা উনাদের জানাইনি এখনো। আমরা যদি মনে করি কোনো রকম সহযোগিতা বা টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স বা ট্রেনিং প্রয়োজন হবে, তখন উনাদের জানাবো। এজন্য নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কী ধরনের সহযোগিতা উনারা দেবেন বা আমরা কী ধরনের সহযোগিতা চাইবো।
তিনি বলেন, উনারা বিদেশি পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি আমাদের এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোমেটিকলি আলোচনা করে দেখতে পারেন। ফরেন ওবজারভারদের বিষয়ে আপনারা ফরেন মিনিস্ট্রিতে একটু কথা বলে দেখতে পারেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্বের বিষয়ে কোনো কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে উনারা তেমন কিছু বলেনি। উনারাও খুব ভালো করেই জানেন এখনো কিছু কিছু দল ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। উনারাও বিশ্বাস করেন, আমরাও চেষ্টা করে যাবো যেন ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়। যেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।