Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা সর্বোচ্চ ১৩৭৫, সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ধার্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২২, ১২:০৪ এএম

৬ ব্যুথে টোল আদায় এবং গাড়ি প্রবেশ ও বের হতে ৪টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে : ১৫টি রুটে নতুন বাস ভাড়া ৩১ টাকা থেকে ৬৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত দেশীয় যানবাহনের চেয়ে বিদেশি যানবাহন চলাচলে দ্বিগুণ-তিন গুণ বেশি করতে হবে : যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারি থাকতে হবে : মান ঠিক রাখতে ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে : প্রফেসর ড. শামছুল হক : পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে টোল একসঙ্গে করা উচিত : মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী
স্টাফ রিপোর্টার
পদ্মা সেতু চালুর মাধ্যমে অত্যাধুনিক সড়ক নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর দুই যুগ পর পদ্মা নদীর উপর নির্মিত ‘পদ্মা সেতু’ চালু হয়েছে। সামনে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি কর্ণফুলী ট্যানেল চালু হবে। এতে করে বদলে যাবে দেশের সড়ক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক। এখন সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হবে না। আজ থেকে রাজধানী ঢাকা থেকে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যানবাহন টোল দিয়ে যাতায়াত করবে। এর আগে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, ১৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রামবন্দরের সংযোগ সড়ক এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৭৪ কিলোমিটার অংশ টোলের আওতায় আনা হয়। মহাসড়কে টোল নির্ধারণ করায় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ১৫টি রুটে বাসভাড়া বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। যা আজ থেকে কার্যকর করা হবে। এসব রুটে বাসভাড়া ৩১ টাকা থেকে ৬৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সড়কের যোগাযোগ নির্বিঘœ করতে পর্যায়ক্রমে দেশের মহাসড়কগুলোতে চলাচলকারী যানবাহন থেকে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ শুরু হচ্ছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়। রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। গত বুধবার তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে টোল আদায়ে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন যানবাহনের জন্য নির্ধারিত টোল উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ এক্সপ্রেসওয়ে পাড়ি দিয়ে যানবাহন ভেদে সর্ব্বোচ্চ টোল গুনতে হবে ১৩৭৫ টাকা আর সর্বনিম্ন বাইকের জন্য টোল ধার্য করা হয়েছে ৩০ টাকা। সওজ থেকে প্রথমে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তাবনা করা হলেও পরে যানটি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ড. শামছুল হক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা আগে থেকেই জানতাম আমাদের এক্সপ্রেসওয়েগুলোতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে টোল আদায় করা হবে। যানবাহন থেকে টোল আদায় করার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। এক্সপ্রেসওয়ে দেশের একটা বড় প্রকল্প। এটার রক্ষণাবেক্ষণ ভালোভাবে করতে হবে। এ জন্য টাকা লাগবে। এক্সপ্রেসওয়ের মান ঠিক রাখার জন্য কাজ করতে অর্থ লাগবে। খেয়াল রাখতে হবে আমাদের জিওগ্রাফিক্যাল যেন ঠিক থাকে। আর আঞ্চলিক সহযোগিতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন আনে। আমাদের কৌশলী ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে কাজ করতে হবে। এই টোল আদায়ের ক্ষেত্রে সুবিধাটা যেন আমরা পাই এবং আমরা যেন জাতীয়ভাবে লাভবান হতে পারি।

পৃথিবীর বহু দেশে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে টোল আদায় করা হয়। তবে টোল আদায়ের পাশাপাশি ওই সব দেশে পৃথক সড়ক রাখা হয় সেগুলো দিয়ে টোল ছাড়াই যে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে। যেসব এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নেয়া হয়, সেগুলোতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে রক্ষণাবেক্ষণ ও বাড়তি নজরদারি করা হয়। রাজস্ব আদায়ের কারণে ওই রোডগুলোর বিশেষ তত্ত¡াবধান করা হয়। দেশে যেসব ছোটবড় ইঞ্জিনচালিত যানবাহন সড়কে চলাচল করে, সেগুলো এমনিতেই প্রতিবছর সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে থাকে। যানবাহনকে প্রতিবছর বাংলাদেশ রোড ট্র্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হয়। মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে প্রাইভেটকার, হেভি ট্রাকের জন্য বার্ষিক চার্জ নিধারণ করা রয়েছে। ফলে দেশের সব ধরনের যানবাহন মালিকরা সরকারকে ট্যাক্স দিয়েই সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়তি টোল দিতে হলে তাদের বাড়তি সুবিধার দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে টোল দিয়ে যানবাহন চলাচল কার্যকর করতে হলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয় এমন কোনো কিছু করা যাবে না। গতিসীমা নির্ধারণ করে সড়কে যানবাহনের লেন ও গতি ঠিক করে দিতে হবে। মানুষ টোল দিয়ে নির্বিঘেœ যাতায়াত করবে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দেশের উত্তরাঞ্চলের ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, দক্ষিণাঞ্চলের ১৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রামবন্দরের সংযোগ সড়ক এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৭৪ কিলোমিটার অংশ টোলের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই সব সড়ক যানজটমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে যাত্রী ও গণপরিবহন মালিক-ড্রাইভারদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তবে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্টরা একটু দায়িত্বশীল হলেই এই মহাসড়কে নির্বিঘেœ যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে।

সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের নির্ধারণ করা টোলের চার্টে দেখা যায়, মাওয়া মহাসড়ক পাড়ি দিয়ে যানবাহন ভেদে সর্ব্বোচ্চ টোল ১৩৭৫ টাকা আর সর্বনিম্ন বাইকের জন্য টোল ধার্য করা হয়েছে ৩০ টাকা। এছাড়া, হেভি ট্রাক ১১০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৫৫০ টাকা, বড় বাস ৪৯৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৪১৫ টাকা, মিনিবাস এবং কোস্টার ২৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ২২০ টাকা, ফোর হুইলার যানবাহনের জন্য ২২০ টাকা ও সেডান কার বা প্রাইভেট কারের জন্য ১৪০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে ৬টি টোল বুথ থাকায় কিলোমিটার অনুযায়ী গণপরিবহনকে টোল দিতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান জানান, মহাসড়কে টোল আদায় শুরু হলে পদ্মা সেতু ছাড়া এই এক্সপ্রেসওয়েতে এখন সেসব জায়গায় টোল আদায় হচ্ছে সেগুলোতে আর টোল দিতে হবে না। অর্থাৎ বর্তমানে এ মহাসড়কের দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতু থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। এসব সেতুতে টোল দিতে হবে না।
সওজের কর্মকর্তারা জানান, ৬টি বুথে টোল আদায়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হলেও এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ৪টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা টু মাওয়ার মধ্যে আব্দুল্লাপুর ও শ্রীনগরে গাড়ি এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ ও বের হতে পারবে। একইভাবে পাচ্চর-ভাঙ্গার মধ্যে মালিগ্রাম ও পুলিয়াবাজারে গাড়ি প্রবেশ ও বের হতে পারবে। অন্যদিকে কোনো যানবাহন যদি টোল দিয়ে সড়ক ব্যবহার করতে না চায়, তাহলে তাদের জন্য বিকল্প সড়কের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

অনুসন্ধান করে দেখা গেল ভারতের আগ্রার তাজমহল, কোনো জাদুঘর এবং স্থাপনার দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক পৃথক ফি নেয়া হয়। দেশের দর্শনার্থীদের জন্য যেখানে ৫০ টাকা ফি সেখানে বিদেশিদের জন্য ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করা হয়। বলা হচ্ছেÑ ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচল করে ৬টি পরিবহনের ৩০টি যাত্রীবাহী বাস। এসব যানবাহনে প্রতিদিন গড়ে যাতায়াত করেন প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি ও ভারতীয় পর্যটক। এদের কেউ চিকিৎসা নিতে যান, কেউ ব্যবসা ও বেড়ানোর কাজে। এ ছাড়াও কলকাতা থেকে বড় বড় ট্রাক এই রোড ব্যবহার করে মালামাল আনা নেয়া করা হবে। ভারতের ট্রাক এমনিতেই অধিক পণ্য বহন করে থাকে। তাছাড়া ওই সব ট্রাকের অতিরিক্ত ভারে এক্সপ্রেসওয়ের দীর্ঘস্থায়িত্ব কমে যাবে। ফলে দেশের যানবাহন চলাচলে যে হারে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে; বিদেশে যানবাহনের জন্য তার দ্বিগুন-তিনগুন টোল আদায় করতে হবে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, আমি প্রস্তাব করেছিলাম ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর টোল আদায় একসাথে করা হয়। আলাদা করলে যাত্রীদের খরচ বেড়ে যাবে। টোল নির্ধারণের জন্য বেশ কয়েকবার সভা আহŸান করে করা হয়নি। পরে তড়িঘড়ি করে প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা উচিত ছিল। দ্রব্য মূল্যের এই সময়টায় আমি মনে করি এ এক্সপ্রেসওয়ের নির্ধারিত টোল অতিরিক্ত হয়েছে। এতে যাত্রীদের ভাড়া বাড়বে। পণ্য পরিবহনের খরচ বাড়বে। এটা আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা হবে।

১৫ রুটের বাসভাড়া বৃদ্ধি : ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ১৫টি রুটে নতুন বাসভাড়া নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রতিটি রুটে বাসভাড়া ৩১ টাকা থেকে ৬৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নতুন বাসভাড়া ৪০ সিটের বাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার থেকে ১৫টি রুটে নতুন ভাড়ায় বাস চলবে। এর মধ্যে ১২টি রুটে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন গন্তব্যে এবং ৩টি রুটে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত বাস চলাচল করবে।

পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের ওপর সড়ক কর্তৃপক্ষ টোল আরোপ করায় বিআরটিএ এই নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে।
এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বাস ভাড়া বাড়ল। এর আগে, ৮ জুন বিআরটিএ পদ্মা সেতুর জন্য টোল সামঞ্জস্য করে ১৩টি রুটের বাস ভাড়া সংশোধন করে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল যেতে বাস ভাড়া হবে ৪৫৪ টাকা; যা আগের চেয়ে ৩৩ টাকা বেশি।
ঢাকা থেকে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা যেতে বাসভাড়া সর্বোচ্চ ৬৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এই রুটে নতুন ভাড়া ৭৬৭ টাকা, যা আগে ছিল ৭০১ টাকা।

এছাড়া ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী বাসের ভাড়া ৩৯২ টাকা থেকে ৪২৩ টাকা, ঢাকা থেকে খুলনার ভাড়া ৫৩৭ টাকা থেকে ৫৭৫ টাকা, ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের ভাড়া ২২৫ টাকা থেকে ২৫৭ টাকা, ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে পিরোজপুরের ভাড়া ৫৩২ টাকা থেকে ৫৮০ টাকা; ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট হয়ে পিরোজপুরের ভাড়া ৫৮৩ টাকা থেকে ৬১৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যেতে বাসভাড়া ৫১৯ থেকে ৫৬১ টাকা, ঢাকা থেকে মাদারীপুরের ভাড়া ৩১৩ টাকা থেকে ৩৪৪ টাকা, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার ভাড়া ৬৫৪ টাকা থেকে ৬৮৯ টাকা, ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাড়া ২৯২ টাকা থেকে ৩২৩ টাকা, ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের ভাড়া ২৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে বরিশালের ভাড়া পড়বে ১৩৪৯ টাকা থেকে ১৩৮৮ টাকা, চট্টগ্রাম থেকে খুলনা যেতে ভাড়া ১১৪৯ থেকে ১১৯২ টাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে বরগুনার যেতে বাস ভাড়া পড়বে ১২২৩ টাকা থেকে ১২৮২ টাকা।

 

 



 

Show all comments
  • আবির ১ জুলাই, ২০২২, ৪:৩৪ এএম says : 0
    সরকার রাস্তা বা সেতুর টোল বেশি করার কারণে তাদের উন্নয়নগুলো ভেস্তে যাচ্ছে। কাজেই টোল কমানো দরকার। সরকার এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিলে জনগণের উপকার হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আকিব ১ জুলাই, ২০২২, ৪:২৮ এএম says : 0
    এ সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করতেছে।
    Total Reply(1) Reply
    • Harunur Rashid ১ জুলাই, ২০২২, ৯:০৩ এএম says : 0
      Sure, you haven't got the bill yet. Wait the bill to arrive.
  • আকিব ১ জুলাই, ২০২২, ৪:৩০ এএম says : 0
    আ.লীগ সরকার রাস্তা-ঘাটের অনেক উন্নত করেছে। তবে, সরকার টোল আরো কম করলে ভালো হতো। এতে জনগণের ভোগান্তি কমে যেতো।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ১ জুলাই, ২০২২, ৪:৩৭ এএম says : 0
    টোল বেশি হওয়ায় এর প্রভাব জনগণের ওপর পড়েছে। সাথে জনগণের ভোগান্তিও বেড়েছে। বর্তমানে সবকিছুর দাম বেশি। এর মধ্যে যদি আবার জনগণের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে তাহলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ১ জুলাই, ২০২২, ৪:৩৯ এএম says : 0
    পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে টোল একসঙ্গে করলে অনেক ভালো হতো। এতে জনগণের খরচ ও সময় দুইটাই বেঁচে যেতো।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ১ জুলাই, ২০২২, ৪:৪৩ এএম says : 0
    দেশের সুশীলরাও বলেছেন পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে টোল একসঙ্গে করা উচিত। কাজেই সরকার যদি এ দুই রাস্তার টোল একসঙ্গে করে তাহলে জন্য ভালো হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এক্সপ্রেসওয়ে

৮ জানুয়ারি, ২০২৩
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ