পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা থেকে মাওয়া পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের অনন্য আকর্ষণ এখন সড়ক দ্বীপ। সড়ক দ্বীপ থেকেই শরতের ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে রাস্তার সৌর্দয্য বৃদ্ধি করছে। সে এক অপূর্ব মন জুড়ানো দৃশ্য। স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্ধোধন হওয়ার পর থেকে এক্সপ্রেসওয়ের ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ।
এক্সপ্রেসওয়ের প্রধান আকর্ষণ সড়ক দ্বীপ। যাতায়াতকারীদের মন সতেজ করে তুলছে, সৌন্দর্য্য ভ্রমণের ক্লান্তি নয় বরং দিচ্ছে আনন্দ। সড়ক দ্বীপ জুড়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফুল গাছের সারি ও ওভার ব্রিজে দীর্ঘ ল্যাম্প পোস্টের বাতির ঝলকানিতে দিনরাত সমান তালে হয়ে উঠে মহোমানিত। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর্ন্তজাতিকমানের এক্সপ্রেসওয়ের নজরকারা সৌন্দর্য্যরে জৌলস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। দিনে ও রাতে সড়কের সৌন্দর্য অগণিত মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে। হলুদ ও কমলা রংয়ের সাদা রাধাচূড়া দুল খাচ্ছে। শরতের ফুল যেন যাত্রাপথে অভিবাধন জানাচ্ছে যাতায়াতকারীদের। এমন হরেক রকম রংবেরঙ্গের ফুল দীর্ঘ পথ জুড়ে।
যে কেউ মনে করতেই পারেন এটি ভিনদেশের কোনো রাজপথ। আসলে দেশের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। চারলেন বিশিষ্ট এই রাস্তা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছে এই পথে যাতায়াতকারীদের। সড়কবাতির আলোয় আলোকিত চারপাশ। অনেকে বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে মাওয়া ঘাটে ছুটে চলেন ইলিশের স্বাদ নিতে। মাঝখানে এই এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে স্মৃতি রাখতেও ভুল করেন না ভ্রমণপ্রিয়রা। যাত্রাপথে একাধিক স্থানে টোল প্লাজা রয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল চোখে পড়ে। ফলে নিরাপত্তা নিয়েও নেই কোনো শঙ্কা।
দিনের বেলায় সবুজ ঘাসের বুকে উঁকি দেয় নানা রঙের ফুল। সড়কের মাঝে বাগানে বিভিন্ন রংয়ের ফুলগুলো বাতাসে দুলতে থাকে। সড়ক দ্বীপজুড়ে করা হয়েছে দেশি-বিদেশি ফুলের বাগান। আর রাতের সড়ক বাতির ঝলমল আলোতে পায় আরেক সৌন্দর্য। প্রতিনিয়ত ব্যস্ততম ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক ও আশপাশের এলাকার সৌন্দর্য যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মানুষের যাতায়াত। চলার পথে এক্সপ্রেসওয়ের নয়নাভিরাম এই সৌন্দর্য অনেকেই উপভোগ করছেন। লক্ষ্য করা যায়, সন্ধ্যার দিকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের পদ্মা উত্তর, শ্রীনগর, সিরাজদিখান এলাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পথচারীর গাড়ি রেখে মোবাইল ফোনে ছবি-সেলফি তুলছেন। কিছুক্ষণের জন্য দাড়িয়ে সড়কের মনোরম পরিবেশে হিমেল বাতাসে গা জুড়াচ্ছেন।
এ সময় শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় সড়কে কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ঢাকা থেকে বন্ধুরা মিলে মাওয়া যাবেন তারা। সন্ধ্যায় সড়কের মনোরম পরিবেশ তাদের থমকে দিয়েছে। তাই ওভারব্রিজের কাছে ছবি তুলে কিছুটা সময় পাড় করতে পেরে তারা মুগ্ধ। এছাড়াও দূর-দুরান্ত থেকে ও স্থানীয় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে সড়কের নান্দনিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসছেন। মহাসড়কের চোখ ধা-ধানো নজরকারা এমন দৃশ্য হাজার হাজার দর্শনার্থীর বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠছে।
দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের চারপাশের নান্দনিক সৌন্দর্য জানান দেয়, এক অন্য বাংলাদেশের। যা বদলে যাওয়া উন্নত হওয়ার পথে পরিচালিত বাংলাদেশ। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, দক্ষ নেতৃত্ব থাকলে উন্নত রাষ্ট্রের মতো দেশেও আধুনিক প্রযুক্তি ও নান্দনিকভাবে রাস্তাঘাট, ভবন তৈরি করা যায় সেই বিষয়টিই ফুটে ওঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।