পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে দুই বাজারেই বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও প্রধান শেয়ারাজার ডিএসইতে প্রায় সাড়ে তিন ডজন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘরশূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রায় পুরো সময় এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয় আদেশের ঘরশূন্য অবস্থায় থাকে। এতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে, লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা গড়ানোর আগেই ভারি হয় দরপতনের পাল্লা। এতে সূচকও নিচের দিকে নামতে থাকে। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মকও হয়ে পড়ে।
অবশ্য লেনদেনের বেশিরভাগ সময় সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী থাকে। লেনদেন শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৫ পয়েন্ট। এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ দরপতন থেকে বেরিয়ে আসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। এতে লেনদেনের শেষ ১৫ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দুটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ৩৯টির দাম দিনের সর্বনিম্ন পরিমাণ কমেছে। মূল্যসূচক বাড়ার পাশপাশি বাজারটিতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়ছে ১৩২ কোটি ৫ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিকস। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মা, তিতাস গ্যাস, ফু-ওয়াং ফুড, সোনালী পেপার এবং স্যালভো কেমিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ২৮ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।