Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ‘বিশ্বাসঘাতক’ শিণ্ডে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২২, ৬:৫১ পিএম

বিজেপির সাথে ষড়যন্ত্র করে সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। এবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সেই শিব সেনার সেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ একনাথ শিণ্ডে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময়ই শপথ নিতে চলেছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী।

মহারাষ্ট্রে সফল ‘অপারেশন কমল’। পরিস্থিতির চাপে পড়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এ পরিস্থিতিতে প্রত্যাশিত ভাবেই শিব সেনার বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। সরকার গড়ার আবেদন জানাতে রাজভবনে গিয়েছেন শিণ্ডে ও ফড়ণবিস। মনে করা হচ্ছিল, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন একনাথ শিণ্ডে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চমক। ফড়ণবিসের ঘোষণা, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিণ্ডে। জানা যাচ্ছে, নতুন মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন বিজেপির ২৫ ও শিণ্ডের অনুগামী ১৩ জন।

মহারাষ্ট্রের মহানাটকের সমাপ্তি যে বৃহস্পতিবারই হতে চলেছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বুধবারই। সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোটের নির্দেশ দেয়ার পরে উদ্ধব ঠাকরের কাছে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। সংখ্যাতত্ত্ব মহা বিকাশ আগাড়ির পক্ষে ছিল না। এই অবস্থায় বুধবার রাতে উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় নাটকের শেষে এবার মহারাষ্ট্রের মসনদে ফিরতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা গেল শিণ্ডেকে দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। বোঝা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী করার লোভ দেখিয়েই শিণ্ডেকে হাত করেছে বিজেপি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি একনাথ শিণ্ডে ‘বিদ্রোহী’ হওয়ার পর থেকেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখেছিলেন উদ্ধবরা। তার অনুগামীদের নিয়ে গুয়াহাটির হোটেলে ওঠেন শিণ্ডে। তারপর থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা। শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার হয়ে যেতে থাকে, শিণ্ডেই এখন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আসল ‘বাজিগর’। তার অনুগামীরা উদ্ধবের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে ভিড়লে আর কোনও আশাই অবশিষ্ট থাকবে না উদ্ধব অ্যান্ড কোংয়ের। ক্রমে সেদিকেই পরিস্থিতি গড়ায়। অবশেষে বুধবার রাতে সরে দাঁড়ানোর তথা হাল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রবীণ শিব সেনা নেতা।

‘১৯-এর শেষদিকে হওয়া নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই নির্বাচনে লড়েছিল শিব সেনা। সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করেছিল গেরুয়া বাহিনী। তবে সরকারের রাশ কীভাবে রাখা হবে, সেই সমীকরণ নিয়ে জট না খোলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জেতা শিব সেনা জোট বাঁধে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে। তখন থেকেই সুযোগ খুঁজছিল পদ্ম শিবির। অবশেষে বকলমে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন বিজেপির। সূত্র: টাইমস নাউ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ