উচ্চবিত্তরা বাংলা ভাষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে : অধ্যাপক সলিমুল্লাহ
প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের পয়সাওয়ালা উচ্চবিত্ত পরিবারগুলো বাংলা ভাষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, আমাদের উচ্চশিক্ষার ভাষা কি এখনো বাংলা হয়েছে? তাহলে বাংলা ভাষার মর্যাদা কোথায় থাকলো? আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত পরিবার বাংলা ভাষার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। গতকাল সময় টিভির পূর্বাপর নামের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলা ভাষার মর্যাদার বিষয় উল্লেখ করে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, সমস্যা হলো বাংলাদেশ হওয়ার পর বাংলা ভাষার মর্যাদা কমে যাচ্ছে। এখনকার সময়ের ছেলে-মেয়েদের ছোটবেলা থেকে ইংরেজি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে যেটা শহর থেকে গ্রামেও। তাতে মাতৃভাষার মর্যাদা থাকলো কোথায়? তিনি বলেন, এখন মূল সমস্যাটা হলো, এখনও বাংলা রাষ্ট্রভাষা হয়নি। হয়েছে শুধু সংবিধানে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন, ‘কাজির গরু খাতায় আছে গোয়ালে নেই।’ আমরা তখন মনে করেছিলাম উর্দু না, বাংলাই হবে রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু ইংরেজি নিয়ে কেউ মাথা তোলেনি।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, এখন আমরা কথাটাকে তরল করে ফেলেছি। পৃথিবীর সব মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা করতে হবে। সব মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা করা এক বিষয় আর সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণের ভাষাকে সেই দেশের রাষ্ট্রভাষা করা আর এক বিষয়। ফরাসি উপনিবেশের আমলে আফ্রিকার ২৪টি দেশে ফরাসিকে রাষ্ট্রভাষা করা হয়েছিল। সাথে সাথে ইংরেজিও ছিল ২০টি দেশে। তিনি আরো বলেন, আমাদের একটা কথার মুখোমুখি হতে হবে। এখন বাংলাদেশকে যারা শাসন করছে সামাজিক শ্রেণী হিসেবে। তাতে মধ্যবিত্ত শ্রেণী বলেন আর যাই বলেন, ১৯৫২’র সময় কিন্তু তারা ছিলেন না। ১৯৫২ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কারার কথায় যে আন্দোলন করেছি তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল কথা। বাংলা ভাষার মর্যাদার বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্যা হলো বাংলাদেশ হওয়ার পর বাংলা ভাষার মর্যাদা কমে যাচ্ছে।