Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় নির্বাচনের আমেজ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন/ আইভী ও সাখাওয়াতসহ মেয়র পদে ৯ জনের মনোনয়ন পত্র জমা

তারেক সালমান ও হাফিজুর রহমান মিন্টু | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দেশের বন্ধ্যা রাজনীতিতে হঠাৎ করেই বইতে শুরু করেছে উত্তাপ ও নির্বাচনী হাওয়া। দীর্ঘদিন পর রাজধানীর খুব নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচনে এই প্রথম দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধীদল বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ বনাম ‘ধানের শীষ’র নির্বাচনী লড়াই দেখার অপেক্ষায় সর্বত্র শুরু হয়েছে নির্বাচনী উত্তেজনা। সরাসরি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগামী ২২ ডিসেম্বর এনসিসিতে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে বিএনপিধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। জাতীয় পর্যায়ে না হলেও স্থানীয় সরকার পর্যায়ে এই প্রথম রাজধানীর অতি নিকটবর্তী এনসিসিতে ‘নৌকা’ বনাম ‘ধানের শীষ’র ভোটের লড়াই কেমন হবে তা নিয়েই উত্তেজনা শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটোর মধ্যে নয়, সারাদেশের মানুষের মধ্যেই বিরাজ করছে।
এদিকে, এনসিসি নির্বাচনকে মনে করা হচ্ছে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের শেষ পরীক্ষার (এনসিসি) নির্বাচন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিদায়ের আগে এই সিটি নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পারবে, তা নিয়ে অনেকটাই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ,  পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগের পর এই সিটি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা ইসি’র শেষ পরীক্ষা বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইতোপূর্বেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিরোধ, বর্জন, গোলযোগ ও দখল ও ভোটারবিহীনতার অভিযোগের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। তাই বিদায়ের আগে নিজেদের ক্ষয়ে যাওয়া ইমেজ নির্বাচন কমিশন কিছুটা হলেও উদ্ধারে সচেষ্ট থাকবে বলে বিশ্লেষকদের আশাবাদ।
শুরুতে এনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণায় প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যেই শুরু হয় নানান গুঞ্জন ও নাটকীয়তা। আ.লীগের গঠনতন্ত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূল নেতাদের প্রার্থী নির্বাচনের তালিকায়ই ছিলেন না এনসিসি’র সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে ক্ষমতাসীনদলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আইভীকেই এনসিসির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপিও প্রথমে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা না করা বিষয়ে কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার তিনদিন পর নিজেদের ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জেলা বিএনপির সহসভাপতি। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আলোচিত ৭ খুন মামলার বাদী পক্ষের অন্যতম সাহসী আইনজীবী হিসেবে ইতোমধ্যেই শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারাদেশব্যাপীই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী কে হবেনÑ তা নিয়ে নানা গুঞ্জনের পর গত মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ নাসিক নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। দুই দলের প্রার্থী ঘোষণার পর ‘নৌকা’ বনাম ‘ধানের শীষ’র মধ্যে সরাসরি ভোটযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। এরও আগে গত সোমবার রাতে বিএনপির নারায়ণগঞ্জ মহানগর, জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নাসিক নির্বাচনে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করেন। মূলত, প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর দলীয় প্রার্থীর ভোট যুদ্ধে সফল হওয়ার জন্য উভয় পক্ষের শীর্ষ মহল থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বত্র চলছে নানা তৎপরতা। এর সঙ্গে চলছে নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও বাধাহীন করতে বিভিন্ন মহলের ভিন্ন ভিন্ন দাবি। প্রধান বিরোধীদল ও দলের প্রার্থীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়হীন করতে দাবি করা হয়েছে সেনা মোতায়েন ও সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার। অপরদিকে, সরকার ও সরকার সমর্থকদের পক্ষ থেকে এ দাবি প্রত্যাখ্যানও করা হয়েছে। এসব নিয়েও চলছে রীতিমত আলোচনা, চলছে মতামত প্রদানের স্্েরাত।  
নাসিক নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রধান ২ দলের মধ্যে নির্বাচনী উত্তেজনার পাশাপাশি ১৮ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের রূপরেখা নিয়েও দেশের রাজনীতি সরগরম হয়ে আছে গত কয়েক দিন ধরে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাৎক্ষণিকভাবে খালেদা জিয়ার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের রূপরেখাকে অন্তঃসারশূন্য ও চর্বিত চর্বণ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও রাজনৈতিক  বিশ্লেষক ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মহলে এ রূপরেখায় গ্রহণযোগ্য এবং অগ্রহণযোগ্য কী কী বিষয় আছে তা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। খোদ আওয়ামী লীগেও খালেদা জিয়ার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের রূপরেখাকে একেবারে প্রত্যাখ্যান না করে এর কতোটুকু গ্রহণযোগ্য এবং কী কী অংশগ্রহণযোগ্য নয়-তা নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ের একজন নেতার মতামত, খালেদা জিয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তার কঠোর মনোভাব থেকে সরে এসে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা তার আলোচনার পথে ফিরে আসার একটি ইঙ্গিত। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মন্তব্য ক্ষমতাসীন দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই বিএনপি চেয়ারপারসনের দেয়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের রূপরেখাকে অন্তঃসারশূন্য বলে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তার মন্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের রূপরেখা প্রত্যাখ্যান করাকে আওয়ামী লীগের জন্য মস্তবড় ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। গতকাল নাসিক নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে উৎসব আমেজে পরিণত হয় নারায়ণগঞ্জ ক্লাব। সকাল ৯টার আগেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য নেতাকর্মী নিয়ে প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে অবস্থান করেন। পরে সকাল ৯টায় মনোনয়ন গ্রহণ শুরু হলে, একে একে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করেন।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৯ জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত সেলিনা হায়াত আইভী, বিএনপি মনোনীত এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী মাসুম বিল্লাহ, জাসদের মোসলেম উদ্দিন, এলডিপির কামাল প্রধান, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘কথিত বিএনপি নেতা’ সুলতান মাহমুদ, জাপা নেতা মেজবাহ উদ্দিন ভুলু। এছাড়া সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুসারে মেয়াদ পূর্তির ৬ মাস বা ১৮০ দিন আগে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সে হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনের কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়েছে গত ৩০ জুন থেকে। এ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ২৭টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭০৬ জন (গত নির্বাচনের হিসেব অনুযায়ী)। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৯৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬১০ জন। এবারের নির্বাচন ২য় বারের মত অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, এনসিসি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে আইভী বলেন, ভোটাররাই আমার সেনাবাহিনী। আইভী বলেন, গতবার সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এবারো সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সে সময় নারায়ণগঞ্জের লাখো জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর কাজ করেছে। এবারো তা করবে। নারায়ণগঞ্জের জনগণ যেখানে আছে সেখানে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই।
আ.লীগের কোন্দল দুই মেরুতে বিভক্ত
এদিকে, আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুই মেরুতে বিভক্ত। এই বিভক্তির সূচনা হয় বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায়। শহরের চাষাঢ়া বালুর মঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় মঞ্চে উঠা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান (আইভীর পিতা) মরহুম আলী আহম্মদ চুনকা ও সাবেক এমপি একেএম শামসুজজুহার (শামীম ওসমানের পিতা) মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। পরবর্তীতে এই বিবাদ মিটলেও ২০১১ সালের সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তা আবার ফিরে আসে শামীম ওসমান ও আইভীর মধ্যে। ফলে দলীয় কোন্দল চরমে পৌঁছে। এই সময় আইভীর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ বেশকিছু নেতাকর্মী বিপরীত মেরুতে ঠাঁই নেন। নেতাকর্মীরা তারা জানান, আসন্ন এনসিসি নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের ফলে বিপরীত মেরুতে ঠাই নেয়া নেতাকর্মীরা পুনরায় ফিরে আসতে শুরু করলেও তারা আইভীর বিজয়ে কতটা আন্তরিক হয়ে কাজ করবেন, তা সময়েই বলে দেবে।
অপরদিকে, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন নারায়াণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপিধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি একথা বলেন। সাখাওয়াত বলেন, আপনারা ইতোপূর্বে দেখেছেন প্রশাসনের কারণে সাত খুনের ঘটনা ঘটেছিল। সুতরাং এখানে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন দরকার। আমরা বলতে চাই, সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র যে ভঙ্গুর অবস্থায় আছে, সেটা নারায়ণগঞ্জ থেকে পুনরুদ্ধার হবে। দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা নারায়ণগঞ্জ থেকে পূরণ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জে দু’টি প্রতীকে ভোট হচ্ছে। একটি হচ্ছে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করার প্রতীক। আরেকটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের প্রতীক।
এদিকে, নগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, এবারের এনসিসি নির্বাচন স্বৈরাচারীর কালোহাত ভেঙ্গে দেয়া ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন। এই নির্বাচন কোন ব্যক্তির নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন ধানের শীষের নির্বাচন।
কামাল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমরা এখন সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। অপর দিকে এনসিসি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণের সংবাদ পেয়ে নেতাকর্মীরা তাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে উৎসাহ-উদ্দীপনায় মত্ত হয়ে উঠেছেন। নবজাগরণ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। বিনা চ্যালেঞ্জে আমরা ছেড়ে দেব না। দলের প্রার্থীর বিজয়ে নেতাকর্মীরা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার ঐক্যবদ্ধ।



 

Show all comments
  • Mitu ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ৩:০৭ পিএম says : 0
    we are waiting to see what happen in this election
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ