পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে রুলের শুনানি আজ। গতকাল রোববার বিচারপতি মো:নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ এ তারিখ ধার্য করেন।
এ তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক। তিনি জানান,পদ্মা সেতু নির্মাণের বিপক্ষে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘ইউনূসের বিচার দাবি : আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস সহ অনেকের নাম উঠে আসে। এসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই বেঞ্চ রুলসমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে একই বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারী ও প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেয়া হবেনা-জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রর মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং দুদক চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এছাড়া ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন বা কমিটি গঠন এবং এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। পরে কয়েকদফা সময় নেয়ার পরও কমিশন গঠন না করায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে কমিশনের সদস্য হিসেবে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো: কামরুজ্জামানের নাম সুপারিশ করা হয়। পরে গত ৫ বছর মামলাটির কোনো অগ্রগতির কথা জানা যায় নি। গত ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক বিষয়টি দৃষ্টিতে আনলে শুনানির তারিখ ধার্য করেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।