মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দু’সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ নারী। সহকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তার বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু ঘরে ঢুকতেই আঁতকে ওঠেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা দেখতে পান পড়ে রয়েছে ওই নারীর দেহাংশ। আর সেই দেহাংশ ঘিরে রয়েছে ২০টি বিড়াল। পরম আনন্দে খেয়ে যাচ্ছে মৃতদেহ! রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলের বাতায়স্কে এ ঘটনা ঘটেছে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, বিড়ালগুলো বাইরে থেকে আসেনি, ঘরেই ছিল। ওই মাংসাশী বিড়ালগুলো মৃত নারীর পোষা।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ ধারণা করছে, অসুস্থতার কারণে ঘরেই মৃত্যু হয় ওই নারীর। মালিকের অনুপস্থিতিতে খাবার জোটেনি এই বিড়ালগুলোর। বেশ কিছু সময় ধরে অভুক্ত থাকার পর নিজের মালিকের মৃতদেহকেই খাদ্য হিসাবে বেছে নেয় বিড়ালগুলো।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার অধীনে কাজ করা এক কর্মচারী পুলিশকে জানায় যে মালিককে বেশ কিছু দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। ওই নারীর আধ খাওয়া মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিড়ালগুলো মেইন কুন প্রজাতির। এ প্রজাতির বিড়ালগুলো সাধারণ বিড়ালের থেকে আকারে বেশ কিছুটা বড় এবং শক্তিশালী হয়।
গবেষণায় আগেই দেখা গিয়েছে, বিড়ালের মালিক যদি কোনও কারণবশত বাড়িতেই মারা যান, তা হলে পোষা বিড়ালগুলোর মালিকের মৃতদেহ খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে পচনশীল মৃতদেহ খাওয়ার জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্রে দু’টি বিড়াল প্রবেশ করে। তবে এ ঘটনার পর নতুন করে গবেষণা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। আর গবেষণার ফলাফলও মেলে চমকে দেওয়ার মতো।
গবেষণায় উঠে আসে যে, পচনশীল মৃতদেহের হাত, বুক এবং কাঁধের মাংস খেতে বেশি পছন্দ করে বিড়ালেরা।
এই গবেষকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান গবেষক সারা গার্সিয়ার দাবি, বিড়ালেরা সাধারণত খুব বেছে বেছে খাবার খায়। বিড়াল একবার পছন্দের খাবার খুঁজে পেলে, তারা বারবার সেটাই খেতে চায়।
২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনের কাছে বাড়িতে অসুস্থতার কারণে মারা যাওয়া এক নারীর মৃতদেহ খেয়ে নেয় তার পোষা তিনটি বিড়াল। যুক্তরাষ্ট্রেও এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর পোষ্য ১০টি বিড়াল তার মাথা, ঘাড় এবং হাতের বেশ কিছু অংশ খেয়ে নেয়। সূত্র : মিরর ও আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।