মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শুক্রবার দুপুরে কলম্বোর রাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশো স্থানীয় মানুষ। তাদের হাতে সিংহলি ও ইংরেজিতে লেখা প্ল্যাকার্ডে স্পষ্ট বার্তা— ‘আদানিকে আমরা চাই না।’ বিক্ষোভকারীদের দাবি, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি ‘সন্দেহজনক’ চুক্তি করেছেন। মান্নারে একটি ৫০০ মেগাওয়াটের সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বরাত গৌতম আদানিকে পাইয়ে দেয়া সেই ‘সন্দেহজনক চুক্তি’রই অংশ।
অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার শ্রীলঙ্কাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। কিন্তু দিন কয়েক হল কলম্বোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। প্রথমে সিলোন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান এমএমসি ফার্দিনান্দো দাবি করেন, ভারতীয় শিল্পপতি আদানিকে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প পাইয়ে দিতে মোদী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের উপরে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। পরে অবশ্য সেই বিবৃতি থেকে সরে আসেন ফার্দিনান্দো। পদ থেকে ইস্তফাও দেন। অবশ্য গোতাবায়ার দাবি, পড়শি দেশের রাষ্ট্রনেতা তাঁকে কোনও চাপ দেননি। নয়াদিল্লিও এ নিয়ে মুখ খোলেনি।
কিন্তু চুপ নেই শ্রীলঙ্কার মানুষ। ‘পিপলস পাওয়ার’ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের ডাকে আজ কলম্বোয় প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। বিক্ষোভে যোগ দিতে মান্নার থেকে কলম্বো এসেছিলেন নাজ়লি হামিম নামে এক ইঞ্জিনিয়র। একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘কোনও রকম দরপত্র ছাড়াই আদানি গোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পাইয়ে দিতে দেশের বিদ্যুৎ আইন পাল্টে ফেললেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য গত কয়েক দিন ধরে নানা বার্তা ঘুরেছে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে। প্রচার হয়েছিল, আজ ২টোর সময়ে শহরের ম্যাজেস্টিক সিটির সামনেসমাবেশ হবে। বিক্ষোভকারীরা যেন সেখানে জড়ো হন। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন অর্থনীতির ছাত্রী অঞ্জনী ওয়ান্ডুরাগালা। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের সন্দেহজনক চুক্তি সম্বন্ধে দেশের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে। আমরা চাই, আমাদের দেশেও পরিবেশ-বান্ধব শক্তির উৎপাদন হোক। কিন্তু তা দুর্নীতির মাধ্যমে হতে পারে না।’
নাজলি হামিমও বলেন, ‘আমাদের দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রের বরাত কাকে দেয়া হবে, তা দরপত্র ডেকে ঠিক করতে হবে। আমাদের দুঃসময়ে ভারত যা করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা দেশকে শোষণ করে এ ধরনেরচুক্তি করছে।’ সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।