বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারীতে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০০ পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুর পর্যন্ত তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা বরাবর অর্থাৎ ৫২ দশমিক ৬০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বেশ কয়েকটি চর প্লাবিত হয়েছে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী স্বপন বাঁধ মসজিদ পাড়ার ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে নদীতে পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, যে কোনো সময় তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এখানে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ফসল ও রাস্তা-ঘাট।
স্বপন বাঁধ এলাকার বাসিন্দা সবুজ ইসলাম বলেন, গত বন্যায় আমাদের গ্রাম রক্ষা তিস্তা নদী সংলগ্ন স্বপন বাঁধটি ভেঙে যায়। বছর পেরিয়ে গেলেও বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত হয়নি। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙা অংশ দিয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ছে। বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি খুব বেশি না বাড়লেও উজানে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসায় তিস্তার পানি বেড়ে যায়। গ্রামে রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে। এরই মধ্যে মজিদপাড়া, টাবুরচর, পূর্ব খড়িবাড়ি, বাঘের চর, জিঞ্জির পাড়াসহ ছয়টি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবড়ি, খালিশাচাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী ও জলঢাকা উপজেলা গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, কৈইমারী, শৌলমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর গ্রামগুলো তলিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা নিশ্চিত করেছেন।
পানি হু-হু করে বাড়ছে। নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে রাতে ফের পানি বাড়তে পারে। এ জন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।