পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নজীরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বধীন নতুন নির্বাচন কমিশনের হাত ধরে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সারা দেশবাসীর কাছে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কুমিল্লা সিটিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্নের মধ্যদিয়ে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার যাত্রায় সফল হলেন নতুন নির্বাচন কমিশন।
সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করে সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। গতকাল বুধবার কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ফলাফল সীট এসে পৌঁছে সন্ধ্যার দিকে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী কুসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। রাত সাড়ে ৯টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাতকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর চেয়ে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করেন।
কুমিল্লার রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, গত ১০ বছরে নগর উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন না করায় একদিকে সাধারণ ভোটার, অন্যদিকে বিএনপি দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ায় দলের ভোটবঞ্চিত হওয়ার কারণেই এবারে ধরাশায়ী হয়েছেন সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তবে তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন। ভোটের লড়াইয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের তরুণ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। যিনি তার একের পর এক বক্তব্য দিয়ে গোটা নির্বাচনী পরিবেশ সরগরম করে রেখেছিলেন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ১২ ভোট।
এদিকে রিফাতের জয়ের খবরে শিল্পকলার ভেতর বাইরে অপেক্ষমান আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী সমর্থক আনন্দ উল্লাস করে। ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং দলের নেতাকর্মী ও নগরবাসীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকলকে সাধুবাদ জানান।
কুমিল্লা সিটিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্নের মধ্যদিয়ে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার যাত্রায় সফল হলেন নতুন নির্বাচন কমিশন। আর এরি মধ্যদিয়ে দীর্ঘ টানা ত্রিশ বছর পর আরফানুল হক রিফাতের হাত ধরে ও এমপি বাহারের সাংগঠনিক দুরদর্শিতার মধ্যদিয়ে কুসিকের চেয়ারে বসবেন আওয়ামী লীগের মেয়র। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন কুমিল্লা পৌরসভার টানা দুই বারের চেয়ারম্যান ছিলেন সে সময়কার তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। এরপর আর আওয়ামী লীগের কেউ চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচিত হতে পারেননি। কুসিকের এবারের নির্বাচনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ভোটের মাঠে তথা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিধিনিষেধের কারণে প্রচারণায় না থেকেও দুর থেকে সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। যার ফলশ্রুতিতে নগরীতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করছেন কুমিল্লার রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।