মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৪ সাল থেকে জার্মানিতে আট শ’রও বেশি মসজিদ হুমকি এবং হামলার শিকার হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধ সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে ব্রান্ডেলিগ এ তথ্য জানিয়েছে।
জার্মানিতে প্রথম যখন কোনো মসজিদে হামলা হয়, তখনই সংগঠনটি প্রথম রিপোর্টিং সেন্টার চালু করে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, আট বছরে ৮৪০টি মসজিদে হামলা, ভাঙচুর এবং হুমকির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
২০১৮ সালে অপরাধের বিশদ বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়নি। এর কারণে নব্য-নাৎসি বা বাম উগ্রপন্থীরা মসজিদে আরো আক্রমণ চালাতে উৎসাহ পেয়েছে।
সংগঠনটি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘সাধারণভাবে, মসজিদে হামলার বিষয়টি খুব বেশ গুরুত্ব দেয়া হয় না।’
২০১৮ সালে মসজিদে ১২০টি হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু মাত্র নয়টি ঘটনায় অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
ব্র্যান্ডেলিগের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘এই হার উদ্বেগজনক।’
তারা জোর দিয়ে বলেছেন, কমপক্ষে ২০টি হামলায় মসজিদে অগ্নিসংযোগ এবং মুসল্লিদের হত্যা ও শারীরিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘সাধারণত প্রতিটি ঘটনার পরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্তও শুরু করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, একটি ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত এবং সমাধান এখনো পর্যন্ত হয়নি।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে বর্ণবাদ এবং মুসলিম বিরোধী বিদ্বেষ অনেক বেড়েছে। নব্য-নাৎসি গোষ্ঠী এবং ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) পার্টির প্রোপাগান্ডা দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মসজিদগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘বাম চরমপন্থী এবং পিকেকে’র সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি মসজিদে হামলার ঘটনার জন্য দায়ী ছিল। তখন বেশিরভাগ মসজিদে হামলা চালিয়েছিল ডান চরমপন্থী বা নব্য-নাৎসি গোষ্ঠীগুলো।’
উল্লেখ্য, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সের পর সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বসবাস জার্মানিতে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।