Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সর্দিজ্বরের স্বাস্থ্যকথা

ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


সর্দিজ্বর কি : সর্দিজ্বর একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। এটি বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির হাতের ছোঁয়ায় অথবা তার ব্যবহার্য জিনিসের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। এ রোগে সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ম্যাজম্যাজ করা সহ বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে চললে এ বিরক্তিকর সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়।
প্রতিরোধের উপায় : সর্দিতে আক্রান্তদের কাছ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে হবে, ধূমপান করা যাবে না, বাসায় নিয়মিত ধুলাময়লা পরিষ্কার ও আসবাবপত্র যত কম রাখা যায় ততই মঙ্গল। তাছাড়া কাজকর্ম, হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করলে এবং ভিটামিনযুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য খেলে, প্রয়োজনে সাবানসহ (বিশেষ করে লিকুইড সোপ) ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করলে সর্দিজ্বরের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। সূর্যের আলো ও বায়ু চলাচলে ভাইরাসের বৃদ্ধি ও তার কার্যকারিতা হ্রাস পায়। তাই সূর্যের আলোতে ভরপুর ও বায়ু চলাচলকারী খোলামেলা জায়গায় কিছু সময় ঘুরে আসলে সর্দিজ্বর এমনিতেই অনেকটা কমে যায়। ওষুধ খেয়ে ঠা-া কমানোর চেয়ে, সর্দিজ্বরের  মাধ্যমে ঠা-াকে নির্মূল করা শরীরের জন্য ভাল ও হিতকর। কয়েকদিন সর্দিতে ভুগলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে রক্তে পর্যাপ্ত এন্টিবডি (অহঃরনড়ফু)  
তৈরি হয়। এন্টিবডি ভাইরাস নির্মূল করে ও শরীরকে ভাল রাখে। এটি অনেকটা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (সরংংরষব ংুংঃবস) মতই কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধে  বেশ কার্যকর।
প্রতিকার : সর্দিজ্বরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। যেমন- হাঁটাচলা, টাটকা ও পুষ্টিকর সুষম খাদ্যসহ ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত মৌসুমি ফল (লেবু, কমলা, পেয়াড়া, জাম্বুরা, আমলকী ইত্যাদি) গ্রহণ, প্রচুর পানিপান ও অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর সাথে পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তাছাড়া গরম লবণ পানির গড়গড়া করলে, মেনথলসহ গরম পানির ভাপ নিলে, আদাকুচি বা আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ও ঠা-া না লাগালে- সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, মাথাব্যাথা, নাক-কান বন্ধ হয়ে থাকা, শরীর ম্যাজম্যাজ ভাব ও জ্বর থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। হেয়ার ড্রায়ারের সাহায্যে নাকে মুখে গরম বাতাস টেনে নিলেও অনেকটা হালকা ও ফ্রেস লাগতে পারে। ধুমায়িত চা, লেবুর রস মিশ্রিত কুসুম গরম পানি পান, গরম পানির গোসল, গরম গরম ভাত ও  প্রোটিনযুক্ত তরকারি খেলে সর্দিজ্বর উপশম হয়। তুলসী পাতার রস (যেমন তুলসীর চা)সর্দিতেবেশ উপকারী। হোমিওপ্যাথিতে অ্যাকোনাইট ও ব্যালাডোনা বেশ ভাল কাজ করে। সর্দিজ্বর প্রতিরোধে ‘তামিফ্লু’ (ওসেল্তামিভির ফসফেট) একটি নতুন ওষুধ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ)মাধ্যমে এটি বিভিন্ন দেশে বিতরণের ব্যবস্থা হচ্ছে। সর্দিজ্বরের চিকিৎসায় এটি হতে পারে একটি যুগান্তকারী সংযোজন ।

ইয়ামাগাতা হাসপাতাল
লালমাটিয়া, ব্লক-এ, ঢাকা
০১৯৮০৪৮৫০০৭
হধংরৎঁফফরহ১৫৪৪@মসধরষ.পড়স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন