২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
আমাদের দেশে শীতকালে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি পাওয়া যায়। নীচে কিছু শাকের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে যেসব শাক খেলে মানুষের শরীর সুস্থ থাকে এবং বিভিন্ন রোগ ভোগের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
কপি শীতকালীন সবজি। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে কপি পাওয়া যায়। তবে আজকাল যে কোনও ঋতুতেই কপি বাজারে পাওয়া যায়। তবে শীতকালে উৎপন্ন হওয়া কপিই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কপি সাধারণত দু’ধরনের হয়। বাঁধাকপি ও ফুলকপি। এই দুই জাতীয় কপিই তরকারি বানিয়ে কিংবা ভেজেও খাওয়া যায়। তবে কপির সবজি বেশি খেলে বাতের রোগ হয় এবং পেটে গ্যাসও হয়। বাতের রোগীর পক্ষে কপি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। তবে বিজ্ঞানীরা অভিমত প্রকাশ করেছেন, কপি পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার কমিয়ে দেয়। প্রোস্টেট ক্যানসার রোগে যারা ভুগছেন তাদের দিনে ৩-৪ বার কপির সবজি তরকারি খেতে দেয়া হয়। কপির মধ্যে যেসব রাসায়নিক পদার্থ আছেÑ কপিতে পানির পরিমাণ শতকরা ৯০ শতাংশ থাকে, প্রোটিন ১.৮ শতাংশ থাকে, কার্বন ৬.৩ শতাংশ, চর্বি ০.১ শতাংশ, খনিজ পদার্থ ০.৬ শতাংশ থাকে। আবার কপিতে ফসফরাস ০.০৫ শতাংশ, ক্যালসিয়াম ০.০৩ শতাংশ আর আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম থাকে। ভিটামিন এ, বিওয়ান, বিটু, সি বেশি মাত্রায় থাকে। বাঁধাকপির সবুজ পাতাতে আয়োডিন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। কপি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। * কপিতে ভিটামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকার জন্যে, কপি পানিতে সেদ্ধ করে নিয়ে ছাঁকনিতে ছেঁকে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুলে মুখের শুষ্ক চামড়া মসৃণ হয়। ফুলকপি খেলে গর্ভাশয় শক্তিশালী হয়। বাঁধাকপি তরকারি বা স্যালাড খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। বাঁধাকপিতে ফসফরাস আছে। সেজন্য বাঁধাকপি খেলে রক্তাপতা রোগ কমে যায়। কাঁচা বাঁধাকপির তৈরি স্যালাড খেলে মাতৃস্তনে দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়। * কপি অথবা কপির রস খেলে লিভার বেড়ে উঠার অসুস্থতা কমে যায়। কাঁচা কপি খেলে দেহে আয়োডিন সৃষ্টি হয়। সেজন্য থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিক থাকে। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের ফুলকপি ও বাঁধাকপি খেতে দেয়া উচিত। এতে তাদের দেহ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ হবে। * বাঁধাকপির তরকারি খেলে পরিপাক যন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠে। চোখের দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হয়। * চিকিৎসকের মতে, কপিতে ভিটামিন-ই আছে। এই ভিটামিন পাকস্থলীতে কোন ঘা হতে দেয় না এবং মস্তিষ্কের স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। * ফুলকপিতে প্রচুর ক্ষার আছে। সেজন্য ফুলকপি খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং ব্রণ, ফোঁড়া ইত্যাদিও কমে। * কপির তরকারি খেলে প্রস্রাবের জ্বালা পোড়া কমে যায়, এমন-কি জন্ডিস রোগও কমে যায়।
পালং শাক আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে হয়। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে এই শাক খাওয়া খুব প্রয়োজন। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে এবং ভিটামিনও আছে সেজন্যই এই শাক খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে খুব প্রয়োজন। চিকিৎসাশাস্ত্রের মতে, পালং শাক খেলে শীতকালে কফ, ঠা-া লেগে জ্বর হওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পালং শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। শ্বাস রোগের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারাও পালং শাক খেলে শীতকালে অনেকটা ভালো থাকবেন। এই শাক খেলে পিত্ত রোগের সমস্যাতেও কাজ দেয়। অন্ত্রের দূষিত বর্জ্য বের করে দেবার ব্যাপারেও এই শাক খুব কাজ দেয়। ডায়াবেটিস রোগীও পালং শাক খেলে যথেষ্ট উপকার পাবেন। পালং শাক খেলে রক্তাল্পতা রোগীরও অনেক কাজ দেয়। পালং শাকে যেসব রাসায়নিক বস্তু থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই পাওয়া যায়। এই শাকে আয়রন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এজন্য পালং শাক খেলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যায়। পালং শাকে প্রোটিন থাকে ১.৯ শতাংশ, চর্বি থাকে ০.৯ শতাংশ, কার্বোহাইড্রেট ৪ শতাংশ। পালং শাকে ক্যালসিয়াম থাকে ০.০৬ শতাংশ, ক্ষার থাকে ১.৫ শতাংশ, ফসফরাস ০.০১ শতাংশ, ভিটামিন সি থাকে ৪৮ মিলিগ্রাম (১০০ মিলিগ্রামে)। ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার,সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদিও পালং শাকে সামান্য পরিমাণে থাকে। পালং শাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রচুর থাকে। অ্যামাইনো অ্যসিড দেহে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। ওষুধ হিসেবেও পালং শাকের প্রয়োজনীয়তা আছে- *পালং শাকের রস খেলে ডায়াবেটিস রোগীর খুব উপকার হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং মুটিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধেও পালং শাক খুব কাজ দেয়।
সাংবাদিক-কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।