Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাংলাদেশমুখী গম বোঝাই ১২ ট্রেন ভারতে আটকে রয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

ভারতে গম রফতানিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কারণে বাংলাদেশে আসতে পারছে না মালবাহী ১২টি ট্রেন। এসব ট্রেনের মোট ৫০৪টি ওয়াগনে প্রায় ২ হাজার ৪০০ টন গম রয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ দেশে গম রফতানি নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশে আসতে ট্রেনগুলোর বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। সে কারণেই কয়েকদিন ধরে আটকে রয়েছে সেগুলো।

গতকাল বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যেসব রফতানিকারক এসব গমের চালান বাংলাদেশে পাঠাতে চান, তারা ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) অধীন আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন সনদ (আরসি) পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরি পণ্যবোঝাই আটকেপড়া ওয়াগনগুলো নিয়ে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়। এ ধরনের ওয়াগনগুলোতে সাধারণত সারসহ অন্যান্য জিনিসও পরিবহন করা হয়।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, ট্রেন চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে, যেন অন্য মালামাল বহনের জন্য খালি ওয়াগনগুলো দ্রæত ফিরিয়ে আনা যায়। ভারত সরকারের সূত্রের দাবি, জালিয়াতির আশঙ্কা দূর করতে পরামর্শক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সব ঋণপত্র (এলসি) যাচাই করা হচ্ছে এবং তারপরে আরসি ইস্যু করা হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে গত ১৩ মে বাধাহীন গম রফতানি নিষিদ্ধ করার পরপরই যোগ্য রফতানিকারকদের জন্য আরসি ইস্যু করার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলোকে কঠোরতা অনুসরণের নির্দেশ দেয় ডিজিএফটি। তবে কিছু অসাধু রফতানিকারক আরসি’র জন্য ১৩ মে বা তার আগে ইস্যু করার তারিখসহ ভুয়া এলসি জমা দিচ্ছে, এমন খবর পাওয়ার পর গত ৩০ মে নতুন নির্দেশিকা জারি করে ডিজিএফটি।

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, প্রয়োজনে সব এলসি সশরীরে যাচাই করবে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ, তা সে এরই মধ্যে অনুমোদিত হোক বা প্রক্রিয়াধীন। দরকার হলে এই কাজে কোনো পেশাদার সংস্থার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। সশরীরে যাচাইয়ের সময় প্রাপক ব্যাংকের বৈধতা বা অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, গত ২ জুন কলকাতার দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, গম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না শত শত ভারতীয় ট্রাক। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থলবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আনুমানিক চার লাখ টন গম নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেগুলো। ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গমবোঝাই ট্রাকগুলোকে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃষ্টির কারণে গমগুলো পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ভারতীয় রফতানিকারকরা। সেটি হলে কোটি কোটি রুপি লোকসান গুনতে হবে তাদের। গত ১৩ মে অনেকটা হঠাৎ করেই গম রফতানি নিষিদ্ধ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়া ওই নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক গম সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্কট আরও তীব্র হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিএফটি জানায়, ১৩ মে’র আগে গমের জন্য যেসব ঋণপপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলোর চালান পাঠানো যাবে। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ভারতের গম রফতানি বন্ধ হবে না। পরে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনও নিশ্চিত করে, বাংলাদেশে ভারতের গম রফতানিতে কোনো বাধা নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ