পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ২৫ জুন চালু হচ্ছে বহুল কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু। এ সেতু চালুর মধ্য দিয়ে এ নৌরুটের দুর্ভোগে অবসান হয়ে অবশেষে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের। এর মাধ্যমে অনেকটাই কমে আসবে নৌ-যানের প্রয়োজন। ফলে চিন্তা বাড়ছে এ নৌ-রুট দিয়ে চলাচলকারী লঞ্চ মালিকদের। যে কারণে বিকল্প রুট খুঁজছেন তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হিসাব অনুসারে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করে। সেতু চালু হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজনীয়তা হারাবে এ রুটের নৌ-যানগুলো। তাই লঞ্চ মালিকরা ভিন্ন রুটে তাদের লঞ্চ পরিচালনা করার কথা ভাবছেন।
জানা গেছে, ভিন্ন রুটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী লঞ্চ চলাচলে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি লঞ্চ মালিক সমিতি। তিন-চার মাস আগে সমিতির সদস্যরা বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশের কয়েকটি নৌ-রুট পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু নতুন নৌ-রুট নির্ধারণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পায়নি লঞ্চ মালিকরা।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি লঞ্চ-মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, নতুন নৌ-রুটের জন্য জামালপুর-সারিয়াকান্দি রুট, নড়িয়া-চাঁদপুর রুটের আলুবাজার ফেরিঘাট এবং ফরিদপুরের চর-ভদ্রাসন-মৈনট ঘাটে লঞ্চ সার্ভিস চালু নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করছেন তারা। যদিও এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র থেকে আরো জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ সময়ে দীর্ঘদিন লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিক-শ্রমিকরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেতু চালু হলে এ ঘাটের লঞ্চগুলো অন্যত্র চালাতে না পারলে সংশ্লিষ্ট খাতে জীবিকা নির্বাহে সম্পৃক্ত হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হঠাৎ করেই বেকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে অনেকের। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাই সরকারের কাছে আবেদনও করেছেন তারা। একইসঙ্গে আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেছে লঞ্চ মালিক সমিতি।
বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে চলাচলকারী দূরের যাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা লঞ্চ ব্যবস্থা। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা ঘাটে নেমে লঞ্চে পার হয়ে শিমুলিয়া থেকে আবার একই পরিবহনে ঢাকা গিয়ে থাকে। এছাড়া ছোট বড় অন্যান্য লঞ্চগুলোয় সাধারণ যাত্রীরা নিয়মিত পার হয়ে থাকেন। বর্তমানে যাত্রী প্রতি করে ভাড়া ৪৫ টাকা।
এমএল বোরহান কবীর এবং শাহিন-সোনিয়া লঞ্চের মালিক মো. সাগর হাওলাদার বলেন, এই ঘাটের লঞ্চগুলো বিকল্প নৌ-রুটে নেওয়ার কথা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে অসংখ্য পরিবারের জন্য ভালো হবে। অন্যথায় সবাইকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
লঞ্চ মালিক সমিতির শিমুলিয়া জোনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ নৌ-রুটের ৮৭টি লঞ্চের চালক-শ্রমিকসহ কমপক্ষে দশজন সদস্যের দশটি করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সব মিলিয়ে হাজার খানেক পরিবারের রুটি-রুজি আসে এ রুটের লঞ্চগুলো থেকে। সেতু চালু হলে যেহেতু এ রুটের প্রয়োজন হবে না, তাই আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ বরাবর দুবার লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তিনি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য রুটে যেন এ রুটের লঞ্চ পরিচালনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং লঞ্চ সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিকরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।