মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাকাশে নিজস্ব স্টেশন নির্মাণ করতে মানুষবাহী যান উৎক্ষেপণ করেছে চীন। অসমাপ্ত স্টেশনটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নিয়ে গত রোববার যাত্রা করেন চীনা মহাকাশচারীরা। সেখানে প্রায় ছয় মাস অবস্থানের সময়ে তারা স্টেশন নির্মাণের কাজ করবেন। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে- স্থানীয় সময় গত রোববার সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে রকেটটি মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসুর জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় শেনঝো-১৪ নামক এ রকেট।
চীনা এ মহাকাশ মিশনটিতে নেতৃত্বে রয়েছেন- কমান্ডার চেন ডং। এ ছাড়া আরও থাকছেন- লিউ ইয়াং ও কাই জুজে। এই বছরের শেষ নাগাদ মহাকাশ স্টেশনের কাজ শেষ করতে চায় চীন। এজন্য মোট ১১টি মানুষবাহী অভিযান পরিচালনা করতে হবে তাদের। স্পেস স্টেশনটি সম্পূর্ণ করার জন্য শেনঝো-১৪ হচ্ছে চারটি ক্রুড মিশনের তৃতীয় এবং তাদের সপ্তম অভিযান।
এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে তিন মডিউলের মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ শুরু করে চীন। ওই সময় প্রথম পাঠানো হয় সবচেয়ে বড় মডিউল তিয়ানহে। তিয়ানহে মডিউলটি নির্মিতব্য স্টেশনগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। একটি মেট্রো বাসের চেয়ে সামান্য বড় তিয়ানহে স্টেশন নির্মাণ শেষে মহাকাশচারীদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার হবে।
নিক্কেই এশিয়া জানিয়েছে- রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর পশ্চিমাদের সাথে মতবিরোধে, মহাকাশ স্টেশন থেকে তার প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতো তারা। সেখান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে মস্কো এখন বেইজিংয়ের সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় অংশীদারিত্ব গড়তে চাইছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা রোসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগজিন চীন ও রাশিয়ার মধ্যে মহাকাশ-সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনার জন্য জুলাই মাসে চীন সফর করবেন বলে জানা গেছে।
রাশিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং হা নুই চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিজিটিএন জানিয়েছেন, ‘মহাকাশ খাতে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় চীন এবং সেই সহযোগিতা সম্প্রসারণের একটি উপায় রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চীনের তৈরি মহাকাশ স্টেশনে রাশিয়া একটি মডিউল তৈরির বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সুপার পাওয়ার হতে চায় চীন। এ জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বে মহাকাশেও নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে চায় বেইজিং।
এদিকে, চীনের মহাকাশ কর্মসূচি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশগুলো। ২০২১ সালে উৎক্ষেপণের পর একটি চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে পড়েছিল। নিয়ন্ত্রণ বিহীন এমন উৎক্ষেপণের জন্য সেসময় বিশ্বব্যাপী এর সমালোচনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।