গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, মানুষ মেরে, পুড়ে যে ভাবেই হোক এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়। মানুষের জীবন এ অবৈধ সরকারের কাছে মূল্যহীন। চট্টগ্রামে প্রায় অর্ধশত মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে, সরকার তাদের জন্য শোক প্রকাশও করেনি। উল্টো এ সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এই ভোটারবিহিন অবৈধ সরকারকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করতে হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের মাধ্যমে সে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খানের উপরে হামলার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করে। সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকদলগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের একটাই লক্ষ্য। জান যাবে কিন্তু ক্ষমতা ছাড়বে না। মানুষ আগুনে ডুবে মারা যাক, পানিতে ডুবে মারা যাক, ক্রসফায়ারে মেরে ফেলুক, শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। চট্টগ্রামে এতগুলো মানুষ পুড়ে মারা গেল সরকারের কিছু যায় আসেনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। কিন্তু আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারও ভয় পাচ্ছে। এ গণতন্ত্র মঞ্চের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের ভিত নড়িয়ে দেয়া হবে।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র মঞ্চের ঘোষণা দেইনি। এর আগেই সরকার ভয় পেয়ে হামলা শুরু করে দিয়েছে। তারা জানে এই গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের ভিত নড়িয়ে দেবে। ভয়ভীতি তৈরি করে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায় উল্লেখ করে নুর বলেন, এই সরকার প্রতিনিয়ত সহিংসতা করছে। ছাত্রলীগ যুবলীগ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত করে মসনদের পতন ঘটাব।
গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে জোনায়েদ সাকি এবং অন্যান্যদের উপর হামলা করা হয়। সীতাকু-ে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ও বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতদের দেখে সংবাদ সম্মেলন করে ফেরার সময়ই তাদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন- গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি ও সদস্য সচিব ফরহাদ জামান, ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও জসীম উদ্দিন এবং সদস্য কামরুন নাহার ডলি। আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।