পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভারতের সমর্থন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। দেশের মানুষ যে কোন সময় ক্ষমতার পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাই শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে অতীতের মতো ভারতের সমর্থন দরকার। ভারতের সমর্থন না থাকলে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। মানুষ যখন জাগবে তখন শ্রীলঙ্কার মতো পালাতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজিত ‘জীবিকা, সম্মান, বিচারের ন্যায্যতা পেতে কথা বলার অধিকার পেতে দুর্নীতি, লুটপাট, পাচারমুক্ত দেশ গড়তে স্বৈরাচার হঠাতে ভোটের অধিকার ফিরে পেতে’ শীর্ষক নাগরিক ঐক্যে যোগদান অনুষ্ঠানে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কিছু উজবুক দেশ চালাচ্ছে। তাদের একজন হচ্ছেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার বিখ্যাত অনেক উক্তি আছে। যেগুলো ইতিহাসে থাকবে, লোকে পড়বে আর বলবে এ রকম মানুষও হয়। তার সর্বশেষ উক্তি হলো- শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে আমি ভারত সরকারকে বলেছি। প্রশ্ন হলো- শেখ হাসিনা যদি জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকতে পারেন তাহলে কেন ভারতকে উনি এ কথা বলেছেন?
আমেরিকার সমর্থনও লাগবে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমেরিকাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপিকে বোঝান যেন নির্বাচনে আসে। আমেরিকার কেন বোঝাতে হবে, আপনারা নিজেরা বোঝাতে পারেন না? তারা নিজেরা তো বোঝাতে পারেন না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। সরকার আর বেশি দিন টিকতে পারবে না। এই সরকার যদি তার রিজার্ভ সমস্যার সমাধান করতে না পারে, জ্বালানি সমস্যার সমাধান না করতে পারে, জিনিসপত্রের দাম না কমাতে পারে, তাহলে আজ অথবা কাল যেতে তো হবে। নিজে থেকে যেতে হবে। আমরা রাস্তায় আন্দোলন যদি নাও করি, মাফ চাইতে হবে যে আমি দেশ চালাতে পারছি না। এ রকম জায়গায় যাচ্ছে। এত বড় সংকটে বাংলাদেশ গত ৫২ বছরে একবারও পড়েনি বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, রাস্তায় একজন মানুষ পাবেন না, যে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো কথা বলে। এখন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, তারা শ্রীলঙ্কার নেতাদের মতো পালাবেন না। প্রয়োজনে জেলে যাবেন। জেলে যে তাদের যেতে হবে এটা তারা বুঝতে পারছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে যারা জোটে আছেন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ যে সাত দলকে নিয়ে জোট করেছি তাদের নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আগামী ২৭ তারিখে আমরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করবো। আমরা জানাতে চাই কেউ যদি মাঠে না থাকে তাহলে আমরা আছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ কবির। এ ছাড়া নাগরিক ঐক্যে যোগদান করা শিক্ষক মো. আবু তাহের, প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন, আইনজীবী জাকির হোসেন, প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান ও প্রকৌশলী ইমরান হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।