Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি দেহত্যাগ নয়, সরকারের পদত্যাগে বিশ্বাসী: গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২২, ৩:০৯ পিএম

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি কারও দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না। বিএনপির বিশ্বাস করে সরকারের পদত্যাগে। দেশটাকে বাঁচতে দিন জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিন।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গ্যাসসহ নিত্যপণের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল।
গয়েশ্বর রায় বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে এক সভায় বলেন, ৭ নভেম্বর এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। সেটাকে সরকারের লোকেরা বলতে চায়, তাদের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'জাতীয়তাবাদী দল কোন খুনিদের দল না।খুন খারাবি বিশ্বাস করে না।'

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার করার জন্য ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব এর মধ্য দিয়ে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের কাতারে এসেছেন। ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমী শক্তির একটি অনুপ্রেরণা স্লোগান। এর চেতনা গনতন্ত্রের মুক্তির চেতনা।

গয়েশ্বর বলেন, 'ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা বলছেন, আপনাদের নেত্রী কে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা মারার হুমকি দিব কেন? এ অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে।
ওবায়দুল কাদের সাহেব আবার দুঃখ করে বলছেন, আমরা কি আঙ্গুল চুষবো নাকি? প্রতিরাতে তিনি যেটা চুষেন, সেটাই চুষেন। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি। আমরা গণতন্ত্র চাই।'

নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের বারোটা বাজিয়েছে। আপনাদের (সরকারের) বারোটা তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোট দিয়ে অতীতেও আপনারা নির্বাচিত হতে পারেননি ভবিষ্যতেও পারবেন না। অতীতের মতো ফ্যাসিবাদী পুলিশ দিয়ে রাতের বেলা ভোট ছিনতাই করে আর অতীতের মতো ক্ষমতায় থাকার সুযোগ আপনাদের নেই।' তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লো বিদ্যুতের দাম বাড়লো, নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম বাড়লো। জিনিসের দাম বাড়লে শুধু ক্ষমতা দিয়ে সংসার চলে না। প্রধানমন্ত্রী নাকি স্বপ্নে দেখেছেন যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে তারপর দিন নাকি তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ বিছানায় যদি তাকিয়ে দেখে বিছানায় একটি বাঘ দাঁড়িয়ে আছে, সামনে বিরাট একটা গর্ত, ডানে গেলে রাস্তাটা আরো খারাপ, অর্থাৎ যেদিকেই তাকায় সেদিকেই যাওয়ার পথ দেখে না।

সমাবেশে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, এই সরকার ক্ষমতা টিকে থাকতে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছে। গতকাল চট্রগ্রামে জুনায়েদ সাকির উপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী। এভাবে দমন পীড়ন করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনের প্রস্তুতি নেন। এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আবারও গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারি সরকারের পতন হবে এবং নির্দলিয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
দেশে চলমান দ্রব্যমূল্যের অস্থির অবস্থা নিয়ে আমান উল্লাহ আমান বলেন, বর্তমানে গেসের দাম, চালের দাম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বেড়েছে। অথচ এই সরকার বলেছিল মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু কোথায় সেই ১০ টাকা কেজি চাল৷ এই সরকারের জনগনের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই বলেই আজকে গ্যাসের দাম বাড়ছে।

সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ