বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ৩৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ইনকিলাব ফেনী অফিসের আয়োজনে আজ সকাল ১১টায় ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক ফেনীর সময় পত্রিকার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে ও ইনকিলাব ফেনী জেলা সংবাদদাতা মো: ওমর ফারুক এর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস কাউন্সিলের প্রশিক্ষক রহমান মোস্তাফিজ। ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী। তৃণমূল সাংবাদিকতায় সদ্য বসুন্ধরা এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত গুণী সাংবাদিক জনকন্ঠ ও এনটিভি ফেনী প্রতিনিধি ওছমান হারুন মাহমুদ দুলাল। ভোরের কাগজের ফেনী প্রতিনিধি শুকদেব নাথ তপন,সংগ্রামের ফেনী প্রতিনিধি একে এম আবদুর রহীম, সমকালের স্টাফ রিপোর্টার শাহজালাল রতন, সাপ্তাহিক মসিমেলা পত্রিকার সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, দৈনিক ফেনী পত্রিকার সম্পাদক আরিফুল আমীন রিজভী,স্টারলাইন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাইন উদ্দিন,রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক ও এটিএন নিউজের ফেনী প্রতিনিধি দিদারুল আলম,সময় টিভির ফেনী প্রতিনিধি আতিয়ার হাওলাদার সজল,নবীণ বাংলা পত্রিকার সম্পাদক মামুনুর রসীদ,ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির ফেনী প্রতিনিধি ছমির উদ্দিন ভূঞা, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য,ফেনী আলীয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সি মাওলানা মো: মাহমুদুল হাছান,জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ফেনী জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। সদর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি কাজী ইয়াকুব ফারুকী। জাতীয় রোগী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ডা. মাহাতাব হোসাইন মাজেদ ও কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা থেকে আগত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম এম এ মান্নানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা মো: মাহমুদুল হাছান। পরে সবার উপস্থিতিতে কেক কেটে ইনকিলাবের তিন যুগপূর্তি ও বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,ইনকিলাব বাংলাদেশের গণমাধ্যমের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক সাংবাদিক তৈরি হয়েছে। আজকে বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমে তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইনকিলাব এদেশের ইসলামী আকিদা ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে চলেছে। তারা আরো বলেন,গণমাধ্যমে এখন প্রতিযোগিতার সময়,এখন টিকে থাকাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এসময় একটা পত্রিকায় টিকে থাকা কঠিন বিষয়। এসময়টায় যে ইনকিলাব টিকে আছে, ইনকিলাব কাজ করে যাচ্ছে এটাই সবচেয়ে বড় একটি বিষয়। বাংলাদেশে ইসলামী ভাবধারার যে সব পত্রিকাগুলো আছে তার মধ্যে ইনকিলাব অন্যতম। ইনকিলাবের যে স্বকিয়তা,নিজস্ব একটা ভাবমূতির্, সরকার বিরোধী তীক্ষ লেখা এবং ইসলামী ভাবধারা ইসলামী মূল্যবোধ সম্পর্কে যেসব লেখা হয় তা সর্বমহলে খুবই গ্রহণযোগ্যতা পায়। ইনকিলাবের আবার সুদিন আসবে এবং একসময় স্বর্ণালী যুগে ফিরে যাবে।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন,ছারছীনার পীর মরহুম আবু জাফর সালেহ মোহাম্মদ (র) ও মাওলানা আবদুল মান্নান সাহেবসহ উভয় মিলে চিন্তা করেছিলেন বাংলাদেশে ইসলামী ভাবধারার একটি পত্রিকা প্রয়োজন। সেখান থেকে সূত্রধরে আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়েই ইনকিলাবের যাত্রা শুরু হয়। নীতি আদর্শ নিয়ে ইনকিলাব এখনোও কাজ করে যাচ্ছে, কখনো আদর্শচ্যুত হয়নি ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবেনা। তারা আরও বলেন, ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মান্নান (র) একজন প্রথিতযশা বড় আলেম ছিলেন। তিনি এরশাদ সরকারের আমলে ধর্মমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশের সেবা করে গেছেন তেমনী ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য জমিয়াতুল মোদার্রেছীন গঠনে উনার অবদান অনেক। তারই সুযোগ্য সন্তান ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবও পিতার আদর্শ লালন করে চলেছেন। ইনকিলাব ন্যায়ের পক্ষে সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সত্য প্রকাশে অবিচল রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।