তৌহিদবাদীরাই ভারতের আদিবাসী
হিন্দ অঞ্চলে যত লোক বসবাস করে তারাই হিন্দী বা হিন্দু। ফারসী ও তুর্কীতে হিন্দুস্তান। আরবীতে
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সেটাকেই বলে যে সমাজে কোনো বিষয়ের ভুল ব্যাখ্যা হয় না। ভালমন্দ বিচারের বিভ্রাট ঘটে না। ঘটলেও তা স্থায়ী হয় না। জ্ঞানী হওয়ার আগে মানুষ পুণ্যবানও হতে পারে না। সমস্ত পুণ্যের জননী হচ্ছে জ্ঞান। পবিত্র ইসলাম ধর্মে এজন্যই জ্ঞানীদের উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র। জ্ঞানী হতে হলে বই পড়তে হবে। ভালো বই মানুষকে জ্ঞান ও আনন্দের পথে নিয়ে যায়। বই মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। বইপড়াও জ্ঞান চর্চার কোনো বিকল্প নাই। একটি জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে বই। বই মানুষের আলোকিত জীবনের সঙ্গী। ভালো বই মানুষকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলে। যারা বই পড়েন, জ্ঞান চর্চা করেন তাদের শত্রুও কম থাকে। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।’ একজন বিখ্যাত ইংরেজ কবি তার নিজের পাঠাগার সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমার সময় কাটে অতীতের মনিষীদের সাথে, তাদের বই যখন পড়ি তখন শুধু তারাই নন, তাদের সময় যেন আমাদের সাথে কথা বলে।’ এ অনুভূতি থেকেই বুঝা যায় বই ও পাঠাগার মানুষের কত আপন, মানুষের কত প্রয়োজন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠাগারকে সমুদ্রের সাথে তুলনা করেছেন। বই মানুষের অজ্ঞানতা দূর করে, জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করার চাবিকাঠি। এ প্রসঙ্গে প্রমথ চৌধুরীর মূল্যবান উক্তিটি উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘সুশিক্ষিত ব্যক্তি মানেই স্বশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষার ক্ষেত্র হচ্ছে পাঠাগার।’
বইয়ের সাহচর্য জীবনকে আলোকিত ও সুন্দর করে তুলে। এক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা সুদূরপ্রসারী। একটি দেশে দায়িত্বশীল, অধিকার সচেতন ও ন্যায়পরায়ন নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাঠাগার ও বই পড়া অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। একটি এলাকায় একটি পাঠাগার থাকার অর্থ সমাজে আলোকিত মানুষ তৈরি হওয়ার সুযোগ অবারিত থাকা। সার্টিফিকেটসর্বস্ব শিক্ষা যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে না পারে সেজন্য সকলকে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। পাঠাগারকে বলা হয় মানবজীবনের জ্ঞানতীর্থ। তীর্থস্থানের মতোই এটি একটি পবিত্র স্থান। জ্ঞানতৃষ্ণা নিবারনের জন্যই মূলত পাঠাগারের উৎপত্তি। ইতিহাস থেকে যতদূর জানা যায়, পাঠাগার প্রথম স্থাপিত হয়েছিল প্রাচীন রোমে। পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে পাঠাগার গড়ে উঠে। বর্তমানে আকাশ সংস্কৃতির কবলে পড়ে পাঠাগারের অবস্থা আগের মতো নাই। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, নব্বই এর দশকের মাঝামাঝি সময়েও আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠাগারের বেশ রমরমা অবস্থা ছিল। পাড়া বা মহল্লার যুবকরা বা নেতৃস্থানীয়রা পাঠাগার গঠন করতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করতেন। ঘর বাড়িতে মহিলারাও ইসলামী বইসহ বিভিন্ন বই পড়তেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা গ্রামে গ্রামে পাঠাগার তৈরি করে দিতেন। সে সময় যুবকরা আজে বাজে আড্ডা না দিয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য পাঠাগারে যেত। ছিল না কোন মারামারি, ছিল না কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। বিয়ে জন্মদিন বা যে কোন উৎসবে বই উপহার দেয়া হতো। বেশি বেশি পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত করে যুব সমাজকে বই পড়ার অভ্যাস এবং নৈতিকতা শিক্ষা দিয়ে কুপথ থেকে ফিরিয়ে আনলেই দেশ ও সমাজের জন্য মঙ্গল হবে। ওমর খৈয়াম বই ছাড়া বেহেশতের কথাও চিন্তা করতে পারেননি। বেহেশতে গিয়ে যা যা তিনি মওজুদ দেখতে চেয়েছেন তার মধ্যে বইও রয়েছে। তার কাছে বই ছাড়া সবকিছুই অর্থহীন।
প্রমথ চৌধুরী স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট সর্বস্ব লেখাপড়ার চাইতে অনেক উপরে স্থান দিয়েছেন লাইব্রেরিকে। তিনি লাইব্রেরিকে হাসপাতালের সাথে তুলনা করেছেন, ‘লাইব্রেরি হচ্ছে মনেরই হাসপাতাল।’ পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক বই পড়তে হবে। সবাই যাতে বই পড়ার সুযোগ পায় সেজন্য পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় মসজিদে, মন্দিরে লাইব্রেরি গড়ে তোলা দরকার। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারগুলো বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষিত মানুষ, যুব সমাজ এবং এনজিওরা এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, নিয়মিত বই পড়লে আলজেইমার বা ডিমেনিশয়া রোগের ঝুঁকি কমে আসে। কর্মস্থলে একটা ব্যস্ততম দিন কাটানোর পরে বই আপনার মনে প্রশান্তি এনে দিতে পারে। অথবা যখন কোন মানুষ কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলার মধ্যে জীবন যাপন করেন, তখনও বই অনেকটা স্বস্তিদায়ক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নীরবে ৬ মিনিট বই পড়লে হৃতকম্পনের গতি ধীর হয়ে আসবে এবং দুচিন্তামুক্ত হতে সাহায্য করবে। একটি ভালো বই মানুষকে ভালো ঘুমাতেও সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বই পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বলেছেন, ‘পরিবেশ দূষণের চেয়েও মানুষের মনের দূষণের ভয়াবহতা আরও ভয়ংকর। এ ভয়াবহ দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব কবি ও লেখকদের। লেখকরাই নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করবেন।’ ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষের চিন্তা ভাবনা ও মনের দূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ধ্রুপদি সাহিত্য পাঠে মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। বিজ্ঞানী, মনস্তত্ববিদ ও লিভারপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকের গবেষণা থেকে এটি প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ একবার বলেছিলেন, একটা করে নতুন কাজের বুদ্ধি তার মাথায় আসে আর তখনই তারুণ্য ভর করে, তার মধ্যে নতুন উদ্যম নব যৌবন ফিরে পান তিনি। একবার তার মাথায় এলো বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ধারণা, তিনি লেগে গেলেন, সফল হলেন। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশে লক্ষ লক্ষ যুব সমাজ বইয়ের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। যুক্ত রাজ্যের কয়েকজন গবেষক স্বেচ্ছাসেবী পাঠকদের পড়তে দেন উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, উহলিয়াম শেক্সপিয়র-সহ বিখ্যাত সাহিত্যিকদের মূল রচনা এবং রূপান্তরিত সহজ ও আধুনিক অনুবাদ। নির্দিষ্ট সাহিত্যের প্রতিটি শব্দ, বাক্যাংশ পড়ার সময় তাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়া ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। কবিতা পড়লে মস্তিকের ডানদিকের অংশের তৎপরতা বাড়ে বলেও গবেষকরা জানিয়েছেন। কবিতা মানুষের স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলে। চিলির বিপ্লবী কবি পাবলো নেরুদা কবিতাকে শান্তির ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইংরেজ কবি ক্রিস্টেফার ফ্রাই বলেন, কবিতা হলো সেই ভাষা, যেখানে মানুষ তার নিজের বিস্ময় আবিষ্কার করে। জালাল উদ্দিন রুমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম পাবলো নিরুদা কিংবা ম্যারি অলিভারের কবিতা বদলে দিতে পারে একটা মানুষের জীবন। একটা ভালো বই শুধু মানুষের প্রজ্ঞাই বাড়ায় না, বরং বই পাঠে মানুষ হয়ে ওঠে সহনশীল ও সহমর্মী। সৃষ্টিজগতে আলোকিত জীবন গঠনে মানব জাতিকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদানের লক্ষ্যে আল্লাহতায়লা শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা, ‘বলো যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান?’ (সুরা আল জুমার আয়ত-৩৯)। বই কেনা ও বই পুরস্কার দেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। বই পড়ার আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য বই পড়াকে দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
নোবেল বিজয়ী রাশিয়ান কবি ইয়োসেফ ব্রদস্কির একটা বিখ্যাত উক্তি হলো, ‘বই পোড়ানোর চেয়েও অনেক অপরাধ আছে, সেগুলোর একটা হলো বই না পড়া।’ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও নলেজ ইকোনমির বিকাশ ঘটাতে হলে পড়াশুনা বাড়াতে হবে। পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেকই মনে করতেন, ই-বই জনপ্রিয় হতে থাকবে, আর কাগজের বই ওঠে যাবে। কিন্তু কয়েক বছরে উল্টোটাই ঘটতে শুরু করেছে। গার্ডিয়ান এবং ওয়াল স্ট্রিট লিখেছে, পুস্তক প্রকাশদের সংগঠনগুলোর হিসাবে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে ই-বইয়ের বিক্রি কমেছে ১৭ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রেও ই-বইয়ের বিক্রি কমেছে। ফেইসবুক, ওয়াটস্অ্যাপ, টুইটার, ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি কখনো বইয়ের স্থান দখল করতে পারে না, এগুলো খুবই হালকা জিনিস। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা আমাদের সম্পদ। তাদের হাত ধরেই আমাদের দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পায়, অথচ আইসল্যান্ডের জনসংখ্যাই প্রায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার, ফিনল্যান্ডের প্রায় ৫৫ লাখ, ডেনমার্কের প্রায় ৫৭ লাখ। সংখ্যা বা পরিমাণ আমাদের দেশের জন্য একটা বিরাট শক্তি। জনসংখ্যার বেশির ভাগই তরুণ। আমাদের শিক্ষার্থী ও তরুণদের বুঝাতে হবে, বই মানুষের হৃদয়কে সুন্দর করে, জীবনকে সমৃদ্ধ করে। সমৃদ্ধ হৃদয়ের মানুষরাই পারে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে। আমাদের শিক্ষার্থীদের বই পড়ে হৃদয়কে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করতে হবে। বই পড়ার লাভ হচ্ছে এতে জ্ঞানের পরিধি বাড়ে, মনের ভিত্তি মজবুত হয়। এর ফলে যে কোন সংকট মোকাবেলা করাও সহজ হয়। বই পড়ার মাধ্যমে বিশ্বের বড় বড় লেখকের বন্ধু হওয়া যায়। বই মানুষকে বড় মানুষ হতে সাহায্য করে, মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে শেখায়। গুগলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ল্যারিপেজ বলেছেন, ঘুমের ঘোরেও যদি একটি দারুন স্বপ্ন দেখো, সেটিও আকড়ে ধরো। আজকের পৃথিবীতে এগিয়ে যেতে হলে মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মেধাচর্চার অর্থ হলো জ্ঞান চর্চা। জ্ঞান চর্চার মাধ্যম হলো বই। জ্ঞানকে সীমাবদ্ধ গতিতে বাঁধা যায় না। জ্ঞান হলো অসীম এবং সে কারণে সর্বদা বিকাশমান।
আমাদের দেশে পাস করা সার্টিফিকেটধারী মানুষের অভাব নেই, অভাব জ্ঞানী লোকের। এ অভাব পূরণের জন্য আমাদের তরুণ সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র পরীক্ষা পাসের জন্য নয় জ্ঞান অর্জনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একটা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নাই। জ্ঞান হলো মানুষের চলার পথের আলো। আলো ছাড়া যেমন কেউ চলতে পারে না, তেমনি জ্ঞান ছাড়া প্রকৃত মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করা যায় না। জ্ঞান অর্জন করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নাই। পবিত্র কুরআনের নাযিলকৃত প্রারম্ভিক বাণীতেই পড়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে, ‘পাঠ কর তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে জমাট রক্ত থেকে সৃষ্টি করেছেন, পাঠ করো। আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না।’ (সুরা আল আলাক আয়াত ১-৫)
জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা মানুষকে ধর্মভীরু ও মহৎপ্রাণ করে তোলে, চিত্তকে মুক্তি দেয় এবং মানবাত্মাকে জীবন বোধে বিকশিত করে। পাঠক সমাজ নিজস্ব পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী বই নির্বাচন করে জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জ্ঞানার্জনের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ঘোষণা করেছেন, বিদ্যা অন্বেষণ করা প্রত্যেক নরনারীর ওপর ফরজ। উপমহাদেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. এ পি জি আব্দুল কালামের একটি মহামূল্যবান উক্তির মাধ্যমে আজকের লেখাটি শেষ করতে চাই, ‘একটি ভালো বই একশজন বন্ধুর সমান, কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটি লাইব্রেরির সমান।’
লেখক: ব্যাংকার, কলামিস্ট ও গবেষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।