মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুই জার্মানি এক হওয়ার পর এই প্রথম মুদ্রাস্ফীতি এতটা বেড়েছে৷ ডিস্ট্যাটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জার্মানিতে চলতি মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৯-এ ঠেকেছে৷
গত মাসে, অর্থাৎ এপ্রিলেও মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক সময়ের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল বলে জানাচ্ছে জার্মানির পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা ডিস্ট্যাট৷ তবে মে মাসে এপ্রিলের চেয়েও এক দশমাংশ বেড়ে ৭.৯ ভাগ হওয়ায় পরিস্থিতি জার্মানির একত্রীকরণের পরের সব খারাপ সময়কেই পেছনে ফেলেছে৷
ডিস্ট্যাটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বশেষ ১৯৭৩-৭৪-এর ভয়াবহ তেল সঙ্কটের সময়েই শুধু এমন পরিস্থিতি দেখেছিল জার্মানি৷
এত উচ্চ হারের মুদ্রাস্ফীতির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া৷ তারপর থেকে জ্বালানির দাম হু হু করে বাড়ছে৷ ভোগ্যপণ্যের দামও বাড়ছে দ্রুত৷ গত বছরের মে মাসের তুলনায় জার্মানিতে জ্বালানির দাম বেড়েছে ৩৮.৩ ভাগ আর খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ১১ ভাগ৷
পরিস্থিতি সামাল দেয়ার উদ্যোগ
ভোক্তার ওপর থেকে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধগতির চাপ কমাতে কিছু ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে জার্মান সরকার৷ জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাসের জন্য আঞ্চলিক পর্যায়ে সস্তায় (নয় ইউরো) গণ পরিবহনের টিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে৷ ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোলে গাড়ি চালকদের জন্য প্রতি লিটারে ২৯.৫৫ সেন্ট এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ১৪.০৪ সেন্ট মূল্যছাড় দেয়া হয়েছে৷
মুদ্রাস্ফীতি আরো বাড়বে?
এসব উদ্যোগে ভোক্তাদের সাময়িক উপকার হবে ঠিকই, তবে বেরেনবার্গ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার শ্মিডিং মনে করেন, এসব জনমোহিনী উদ্যোগের কারণে জার্মানির অর্থনীতি আরো চাপে পড়বে৷
রয়টার্সকে হোলগার শ্মিডিং বলেছেন, গ্যাস পাম্পে দেয়া ডিসকাউন্ট এবং অন্যান্য বিশেষ ব্যবস্থার কারণে আগামী মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির হার আরো বেড়ে যেতে পারে৷
অন্যদিকে আলিয়ান্স ট্রেডের শিল্প বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অরেলিয়েন ডুথোইট মনে করেন, জার্মানিতে ভোগ্যপণ্যের দাম আগামীতে আরো বাড়বে৷ তার অনুমান, এ বছর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার ১০.৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে৷ এর ফলে ভোগ্যপণ্যে মাসিক খরচ গড়ে ২৫০ ইউরো পর্যন্ত বাড়লেও তিনি অবাক হবেন না৷
বৈশ্বিক সমস্যা
দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি অবশ্য প্রথমে করোনা মহামারী এবং তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অনেক দেশেই হচ্ছে৷ জার্মানিসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশের অর্থনীতিই জোড়া আঘাতে প্রাভাবিত৷ বছর শেষে এর প্রভাবে অর্থনীতি আরো বিপর্যস্ত হতে পারে- এমন আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ সারা ইউরোপেই মুদ্রাস্ফীতি সার্বিকভাবে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।