Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ স্বাভাবিক হচ্ছে সাংহাইয়ের জনজীবন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ১২:০৭ এএম

জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম শহর চীনের সাংহাই। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় শহরটিতে লকডাউন আরোপ করা হয়। স¤প্রতি কমতে শুরু করেছে ভাইরাসে আক্রান্তের হার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনা সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই লকডাউন তুলে সাংহাইয়ের জনজীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। খবর রয়টার্স। চীনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাই ২ কোটি ৫০ লাখ অধিবাসীর শহর। কভিডের প্রাদুর্ভাব বাড়ার কারণে শহরটিতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এতে করে চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বহু অধিবাসী উপার্জন হারায়। তবে সা¤প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বুধবার থেকে জনজীবন আবারো স্বাভাবিক হবে শহরটিতে। সাংহাইয়ের নগর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র ইন জিন জানান, বুধবার থেকে চীনের সব থেকে জনবহুল শহরটিতে প্রকাশ্যে চলাচলের জন্য কভিড পরীক্ষার নিয়ম শিথিল করা হবে। মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জনসম্মুখে চলাফেরা ও গণপরিবহন ব্যবহারের জন্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি পিসিআর নেগেটিভ পরীক্ষিত হতে হবে। আগে এ সময় সীমা ছিল ৪৮ ঘণ্টা। সাংহাইয়ের বৃহত্তম বিমানবন্দর নিকটবর্তী পুডং নিউ এরিয়ায় বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। এছাড়া মধ্য সাংহাইয়ে প্লাজা সিক্সটি সিক্স নামে অভিজাত শপিং মলটি খুলেছে। লুই ভিতোঁসহ বিশ্বের অনেক অভিজাত ব্র্যান্ডের শোরুম রয়েছে সেখানে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর অনুমতি পেয়েছে সাংহাইবাসী। যদিও এখন পর্যন্ত অনেক বাসিন্দাই নিজেদের ঘরে অবস্থান করছেন। দোকানগুলোও ডেলিভারি দেয়ার নিয়মে আবদ্ধ রয়েছে। আজ বুধবার থেকে শহরের ২৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমোদন দিয়েছে নগর কর্মকর্তারা। এছাড়া চলতি মাসে এর আগে ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠান আবারো চালু হওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছে। লকডাউনের কারণে ১০ হাজারেরও বেশি ব্যাংকার ও ব্যবসায়ী অফিসেই ছিলেন। এখন তারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করছেন। চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই অটোমোবাইল শিল্প, জীববিজ্ঞান, কেমিক্যাল ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উৎপাদন শুরু হয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়ের লাইব্রেরি, জাদুঘর, থিয়েটার ও জিম খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভিড় সীমিত করা হয়েছে। ফাংশান ও শুনি জেলা দুটিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতি সমাপ্ত হবে। এ জেলা দুটিসহ চাওইয়াং জেলাটিতে গণপরিবহন আবারো চালু হবে। তবে বিধিনিষেধ শিথিল হতে শুরু করলেও রেস্তোরাঁগুলো খোলার বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি ঘোষণা দেয়া হয়নি। চলতি বছরের এপ্রিলের পর থেকেই চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেখা গিয়েছে বলে জানান বিশ্লেষকরা। তবে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো কম। অনেক বিশ্লেষকের মতে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও (এপ্রিল-জুন) অর্থনৈতিক সংকোচন দেখবে দেশটি। মূলত কভিড পরিস্থিতির ওপর চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া নির্ভর করছে। করোনাভাইরাসের সব থেকে সংক্রমণযোগ্য ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব নিঃশেষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রয়টার্স।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জনজীবন

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ