পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এক দলীয় বাকশাল থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তন করায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সাধারণ মানুষ তাঁকে উপরে স্থান দিয়েছে। জিয়াউর রহমানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাউকে ছোট বড় করতে হয় না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কর্মকান্ডের তুলনা সে নিজেই। আমরা যেন ভুল করে জিয়াউর রহমানের সাথে অন্য কারো তুলনা করতে না যাই। জিয়াউর রহমান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবেন।
আজ রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তারঁ উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে খ্যাতনামা জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রামান্য চিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রামান্য চিত্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ঠ সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান সর্বকালের একজন সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ প্রেমিক। জিয়াউর রহমান একজন দূরদর্শী সম্পন্ন রাজনৈতিবিদ ছিলেন। জিয়াউর রহমান সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠক। একটি রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা দরকার । এটি অল্প সময়ের মধ্যে জিয়াউর রহমান করতে পেরেছিলেন। পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি মুক্তিযদ্ধে সবাইকে মাঠে নামাতে পেরেছিলেন। এবং সম্মুখন ভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তিনি ইচ্ছা করে আসেন নাই। সিপাহী জনতা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনেছে। জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন তিনি জনগণের সে প্রত্যাশা পূরন করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিন এশিয়ার ৭টি দেশকে একত্রিত করতে জিয়াউর রহমান সার্ক তৈরি করেছিলেন। সার্কের কার্যকারিতা না থাকায় দক্ষিন এশিয়ার রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্বের বড় দেশগুলো যখন আমাদের নিয়ে খেলবে তখন আমরা বিপদে পড়ে যাবো। এসব থেকে মুক্তি পেতেই জিয়াউর রহমান র্সাক গঠন করেছিলেন। এটাই জিয়াউর রহমানে দূরদর্শীতা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ ছোট দেশের মধ্যে লক্ষ লক্ষ বেকার কাজে লাগাতে পারবেন না। তাই তিনি শ্রমিক রপ্তানীর ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে বিদেশে শ্রম বাজার দখল করেন। যার রেমিডেন্স এখন আমরা পাচ্ছি। বিদেশে শ্রমিক ও পোশাক শিল্পের রেমিটন্স দিয়েই বাংলাদেশ টিকে আছে। এটাই হলো জিয়াউর রহমানে দূরদর্শীতা। রেমিডেন্স না আসলে আংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিনত হতো।
তিনি খান খনন কর্মসূচি পালন করে সারা দেশে কৃষিক্ষেত্রে অভুতপূর্ব সাফল্য এনেছিলেন। ছাত্রদেও তিনি শুধু রাজনীতির মধ্য সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি তাদেও দিয়ে উৎপাদনমুখী রাজনীতি করাতে চেয়েছেন। যুবকদের তিনি বসিয়ে রাখেননি। যুবকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাইসেন্স দিয়ে কাজে লাগিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের স্লোগান ছিলো বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে কোন প্রভু নাই। জিয়াউর রহমানই প্রথম ব্যাক্তি ৭ টি দেশের সমার্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসে আমেরিকা , রাশিয়া, চীন, কূটনৈতিক মিশন চালু করেন। জিয়াউর রহমানের কোন স্বজনপ্রাতী ছিলো বলে জানান গয়েশ্বর।
এ সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।