পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা এবং যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে ভিটেমাটি সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। অন্যদিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় পদ্মা সেতুর পিলারের নিরাপত্তার জন্য তৃতীয় দিনের মতো গতকাল মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তীব্র স্রোতের মধ্যে ফেরি চালানো হলে সেতুর পিলারের গায়ে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা আছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএ (মেরিন) আহম্মদ আলী জানান, গেল দুইদিন স্রোতের গতিবেগ ছিল ৪ নটিকেল মাইল। যা ফেরি চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। পদ্মা সেতুর পিলারের নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি। স্রোত স্বাভাবিক অবস্থানে আসলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
প্রবল স্রোতের কারণে পদ্মায় ভাঙন তীব্র হয়েছে। এতে ঘর-বাড়ি, জমি-জমা বিলীন হচ্ছে পদ্মার বুকে। পদ্মার ব্যাপক ভাঙনে পাবনার ঈশ্বরদীতে হুমকিতে পড়েছে নদী রক্ষা বাঁধ। জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। নতুন করে ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে যমুনায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। জামালপুরের মাদারগঞ্জে গত এক সপ্তাহে পাকরুল গ্রামের অন্তত ৫০টি ঘরবাড়ি, কয়েক বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার অনেক পরিবার রাস্তায় ঠাঁই নিয়েছে। হুমকির মুখে পড়ায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, উপজেলার মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে পাকরুল নামের গ্রামটি। কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন সময়ে গ্রামের বসতঘর, ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। গ্রামটির মাত্র ৩০ শতাংশ অবশিষ্ট আছে, তাও ভাঙনের কবলে। গ্রামের একমাত্র পাকরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের হুমকির মুখে। গ্রামটির প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন চলছে।
ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। তারা জানান, ভাঙনের তাণ্ডবে খোলা আকাশের নিচে অর্ধশত পরিবার। অনেকে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্য স্থানে ছুটছে। গত এক সপ্তাহে অর্ধশত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের চরপৌলী গ্রামে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। গত এক সপ্তাহে এই গ্রামের পাঁচ শতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। যার তিন শতাধিক ভেঙেছে গত দুই দিনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।