বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদক ও সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিজিবি দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
বিজিবি'র কক্সবাজার রিজিয়ন কর্তৃক পাঁচশত দশ কোটি নব্বই লক্ষ তের হাজার পাঁচশত বাহাত্তর) টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
আজ জুমাবার (২৭ মে) সকাল ১০ টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কক্সবাজার রিজিয়ন রামুতে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও কক্সবাজারের সংসদ সদস্যবৃন্দ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক, জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন সহ উচ্চপদস্থ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি'র অভিযানিক কার্যক্রম নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এরপর
বিজিবি'র কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন এবং বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ বক্তব্য প্রদান করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও সার্বজনীন প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন। বিজিবিকে বিশ্বমানের একটি আধুনিক ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং একইসাথে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজিবি'র পাশে থেকে সাহস জোগানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং কক্সবাজার রিজিয়নের বিজিবি সদস্যদের মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে দক্ষতার সাথে কাজ করায় তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরপর তিনি নিজহাতে ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ইয়াবা ধ্বংসকরণের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে কক্সবাজার রিজিয়নের অধীনস্থ ব্যাটালিয়নসমূহ কর্তৃক বিগত ০১ বছরের মালিকবিহীন আটককৃত ৯০,৮০,৪৭৭ পিস ইয়াবা, ২৩.৭৫২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস; ৬,৭৬৭ ক্যান বিয়ার; ১,৩৩৯ বোতল মদ; ১৫৪ বোতল ফেন্সিডিল; ২০৬ লিটার বাংলা মদ; ১৭ কেজি গাঁজা; ৪৮,০১৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট; ১০,৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট এবং ০৭ বোতল এ্যামোনিয়াম সালফার ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যদমূহের আনুমানিক সিজারমূল্য ৩৯৫,৭৬,৪৭,৫৭৫/- (তিনশত পঁচানব্বই কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত পঁচাত্তর) টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আটক ১৯৭৯ জন আসামীসহ ১,২৪,০০,৪৩০ পিস ইয়াবা; ২৭.৪৪৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস; ১,৩০৫ ক্যান বিভিন্ন প্রকার বিয়ার; ৯৮ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ; ১৩৭ বোতল ফেন্সিডিল; ৫৮৬.৮০০ লিটার বাংলা মদ; ২২.৯৯৫ কেজি গাঁজা; এবং ৩.১৫০ কেজি আফিম মামলার মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তর করা মাদকদ্রব্যসমূহের আনুমানিক সিজারমূল্য প্রায় ৫১০,৯০,১৩,৫৭২ (পাঁচশত দশ কোটি নব্বই লক্ষ তের হাজার পাঁচশত বাহাত্তর) টাকা।
মাদকমুক্ত দেশ ও সমাজ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী নির্দেশনা “মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি” এর সফল বাস্তবায়নে বিজিবি’র প্রতিটি সদস্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি কর্তৃক অভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রতিনিয়ত উদ্ধার করা হচ্ছে জীবন নাশকারী ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ইয়াবাসহ নানাবিধ মাদকদ্রব্য। মূলতঃ মাদকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরই সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এরূপ মাদক ধ্বংস করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।