Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে খাদ্যবাহী জাহাজ চলতে দেবে রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২২, ১২:৩১ এএম

রাশিয়া বলেছে, তাদের ওপর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তারা ইউক্রেনের অবরুদ্ধ বন্দরগুলো থেকে খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ বেরুতে দেবে। ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বুধবার রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুডেনকোকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেন হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। ২৪ ফেব্রæয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হাজার হাজার সৈন্য পাঠানোর পর থেকে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দরগুলো অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং ২০ মিলিয়ন টনেরও বেশি শস্য দেশে গুদামগুলোতে আটকে আছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিশ্বব্যাপী গমের সরবরাহের প্রায় এক তৃতীয়াংশের জন্য ভ‚মিকা রাখে এবং ইউক্রেন বন্দর থেকে উল্লেখযোগ্য শস্য রপ্তানির অভাব ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কটে অবদান রাখছে। ইউক্রেন ভুট্টা এবং সূর্যমুখী তেলের একটি প্রধান রপ্তানিকারকও।

পশ্চিমা শক্তিগুলো ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানির জন্য ‘নিরাপদ করিডোর’ স্থাপনের ধারণা নিয়ে আলোচনা করছে, যোগ করেছে যে এই জাতীয় যেকোন করিডোরের জন্য রাশিয়ার সম্মতির প্রয়োজন হবে। ‘আমরা বারবার এই বিন্দুতে বলেছি যে খাদ্য সমস্যার সমাধানের জন্য রাশিয়ান রপ্তানি এবং আর্থিক লেনদেনের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সহ একটি ব্যাপক পদ্ধতির প্রয়োজন,’ রুডেনকোকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে।

‘এবং এর জন্য ইউক্রেনীয় পক্ষের দ্বারা সমস্ত বন্দর যেখানে জাহাজ নোঙর করা হয় সেগুলিকে ধ্বংস করা প্রয়োজন। রাশিয়া প্রয়োজনীয় মানবিক পথ সরবরাহ করতে প্রস্তুত, যা তারা প্রতিদিন করে,’ তিনি বলেছিলেন। রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরকে কৃষ্ণ সাগরে ড্রিফটিং মাইন বসানোর অভিযোগ এনেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন মঙ্গলবার বলেছেন যে রাশিয়া খাদ্য সরবরাহকে বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ‘যারা সকল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় আমরা তাদের সাথে সংলাপের জন্য সবসময় প্রস্তুত। আমি উরসুলা ভন ডার লেইনের বিবৃতি তার বিবেকের কাছে ছেড়ে দিচ্ছি,’ রুডেনকো বলেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন যে, রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে বন্দীদের বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে, একবার যারা আত্মসমর্পণ করেছিল তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। রুশ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তারা বলেছেন, যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়া উচিত। রুডেনকো আরও বলেন, ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলের রুশ-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি স্থাপণের কোন সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সূত্র : আল-জজিরা, ইউরোঅ্যাক্টিভ।

 



 

Show all comments
  • মোঃ আশরাফুল হক জন ২৭ মে, ২০২২, ১২:২৪ পিএম says : 0
    বাংলা ভাষায় একটি প্রাবাদ আছে ঠেলায় পরলে সালায় বাপ ডাকে তেমনি পশ্চিমারা!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ