মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পেট্রোলের জন্য হন্তদন্ত হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক ব্যক্তি। কারণ বাড়িতে তার দু’দিনের সন্তানের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে! সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছতে না পারলে বড় অঘটন ঘটে যাবে। গাড়ি আছে, কিন্তু তাতে পেট্রোল নেই! হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে যাবেন কীভাবে? তাই একটু পেট্রলের আশায় এক পাম্প থেকে আরেক পাম্পে ছুটে বেড়িয়েছেন।
এই ছোটাছুটিতে পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক ঘণ্টা। বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা তার আসার অপেক্ষায়। কখন পেট্রোল নিয়ে আসবে, গাড়িতে করে সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতালে যাবে। কিন্তু কোনো জায়গা থেকেই পেট্রোল না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। শেষে কোনোরকমে হাসপাতালে যখন পৌঁছালেন, ততক্ষণে সব শেষ।
চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, আর বেঁচে নেই।
চিকিৎসক শানাকা রোশন পাথিরানা জানিয়েছেন, সময় গড়িয়ে যাওয়ায় শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শিশুটির বাবা যদি সময়মতো পেট্রোল পেতেন, তা হলে হয়তো ঠিক সময়ে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারতেন। তখন হয়তো শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হত। এই পরিস্থিতির জন্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন ওই চিকিৎসক।
গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক, জ্বালানি এবং খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। সময় যতো গড়াচ্ছে পরিস্থিতি তত নাজুক হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটির। হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য রীতিমত হাহাকার চলছে। একাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত ওষুধের ব্যবস্থা না করা গেলে কেবল চিকিৎসার অভাবে দেশটিতে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটবে।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে দৈনন্দিন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যই আমদানি করতে হয়। এসব পণ্যের মধ্যে ওষুধও রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট চাহিদার ৮০ শতাংশেরও বেশি ওষুধ আমদানি করে শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু ডলারের মজুত তলানিতে নেমে যাওয়ায় জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পণ্যের মতো ওষুধ আমদানি করতে গিয়েও সমস্যায় পড়েছে দেশটি। ফলে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না এবং সার্বিকভাবে শ্রীলঙ্কার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। সূত্র : টাইমসনাউ, আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।