বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত কয়েক দিন ধরে চালের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ায় এ প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। গতকাল বুধবার প্রায় সব ধরনের চালের দাম খুরচা বাজারে কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা বেশি দেখা গেছে।
ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে নতুন চাল এলে দাম অনেকটা কমে যায়। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র। প্রতিদিন সব ধরনের চালে ১-২ টাকা করে বেড়েই চলছে।
ভরা মৌসুমেও কেন চালের দাম বাড়তি এমন প্রশ্নে কারওয়ান বাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, বোরো ধানের বড় অংশই কৃষকের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে ফড়িয়া ও মিলাররা। চাল করে বাজারে ছাড়ার কথা তাদের। তারা তা না করে গুদামে আটকে রেখেছে। মিলারদের কাছ থেকে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ বাজারে আসছে না। এ কারণে চালের সংকট ও দাম দুই বাড়ছে।
এদিকে খুচরা বাজারগুলোতে সব ধরনের চালে বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে ৩-৭ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য।
গত ১৩ মে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর আটা ও ময়দার বাজারে প্রভাব পড়ে। আর এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০-৬৮ টাকায়। এক বছর আগে ৩১ মে প্রতি কেজি সরু চালের দাম ছিল ৫৮-৬৫ টাকা।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘অন্য সব পণ্যের প্রভাবে চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী। তবুও আমাদের দেশের চালের যে চাহিদা তার বেশিরভাগ দেশেই উৎপন্ন হয়। তাই সরকারের আরও বেশি কঠোর হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ নিয়ে কোনো গোষ্ঠী যেন চালের বাজার অস্থির করতে না পারে।’
দাম না বাড়লেও আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ-মাংস ও সবজি। বিক্রেতারা বলছেন, পণ্যের সরবরাহ কম ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে মুরগি-ডিম আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকা।
রাজধানীর হাতিরপুলের মুরগি ব্যবসায়ী শফিক জানান, সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সরবরাহ বেশি থাকায় ঈদের সময়ও দাম কম ছিল। এখন পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মুরগিতে ২০ টাকা বেড়েছে।
নতুন করে সবজির দাম না বাড়লেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মহল্লার বাজারগুলোতে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৫০, পটোল ৬০, টমেটো ৬০, শসা ৪০-৫০, কাঁকরোল ৬০-৭০, বরবটি ৫০-৬০, করলা ৬০-৭০, ধন্দুল ৫০-৬০ ও ঝিঙ্গা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানে বেড়ে যাওয়া মাছের দাম এখন আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০, রুই ২৮০-৪০০, চাষের পাঙাশ ১৬০-১৮০, কাতলা মাছ আকারভেদে ৩২০-৪০০, তেলাপিয়া ১৪০-১৫০, আকারভেদে আইড় ৯০০ থেকে ১১০০, দেশি শিং ৯৫০-১০০০, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৮০০ থেকে ৯০০, ইলিশ কেজিপ্রতি ১২০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।