মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মারিউপোলের ইস্পাত কারখানায় অবস্থান নেয়া ইউক্রেনীয় সেনারা অবশেষে আত্মসমর্পণ করেছে। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহরটির উপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ পেল রাশিয়া। এটি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার জন্য এখন অবধি সবচেয়ে অর্জন।
আজভ সাগরের উপর অবস্থিত মারিউপোলে রাশিয়ার অভিযানের আগে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করতেন। এটি দখল করা রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কারণ তিনি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ থেকে রাশিয়ান ভাষাভাষীদের ‘মুক্ত’ করার চেষ্টা করছেন। পুরো যুদ্ধের সময় ধরে শহরটি রাশিয়ার অবরোধের মধ্যে ছিল।
পুতিন গত মাসে মারিউপোলকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করেছিলেন এবং বিশেষজ্ঞরা তখন বলেছিলেন, স্টিল প্ল্যান্টের হোল্ডআউট ছাড়াও, শহরটি ইতিমধ্যেই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এই বাহিনীর আত্মসমর্পণ এখনও রাশিয়াকে একটি বিজয় প্রদান করে, বিশেষ করে ক্রেমলিন যখন ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণে অঞ্চলকে একীভূত করতে চায়।
ইউক্রেন, বিশেষত ২০১৪ সালেন পরে, মারিউপোলকে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রয়োজন হতে পারে এমন যে কোনও ধরণের প্রতিরক্ষার চাবিকাঠি হিসাবে দেখেছিল। ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার এর প্রধান রাশিয়ার বিশ্লেষক মেসন ক্লার্ক বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী গত আট বছর ধরে এটিকে রক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল।’ অবরোধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী শহরের প্রতিরক্ষায় প্রচুর সম্পদ বিনিয়োগ করেছে, যার কারণে এটি কয়েক সপ্তাহের রাশিয়ান বোমাবর্ষণ সহ্য করতে সক্ষম করেছে।
রাশিয়া বলেছে যে তারা ডনবাস এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ চায় এবং মারিউপোল রাশিয়াকে পূর্ব থেকে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ পর্যন্ত ইউক্রেনের এই অংশটি তৈরি করতে সহায়তা করে। ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলের অবস্থান মানচিত্রের খুব অল্প অংশজুড়ে হলেও রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে আজভ সাগর তীরবর্তী এ বাণিজ্য কেন্দ্রটির গুরুত্ব অপরিসীম।
এটি ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার অধিগ্রহণ করা ক্রাইমিয়াকে সংযোগকারী স্থল পথের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সামরিক কৌশলগতভাবে শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ায় স্থলপথে ক্রাইমিয়া যেতে রাশিয়াকে আর কোনো ধরনের বাধার মুখেই পড়তে হবে না। কৃষ্ণসাগরের উপদ্বীপটিতে থাকা রুশ সেনারাও এখন ডনবাস বা ওডেসার দিকে অভিযানে যুক্ত হতে পারবে। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর উপকূলরেখার ৮০ শতাংশ রাশিয়ার হস্তগত হয়েছে।
মারিউপোলের বন্দরটি মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যত্র ইস্পাত, কয়লা ও গম রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হওয়ায় এর নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় রাশিয়া বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে; বিপদে পড়বে ইউক্রেন। ইউক্রেনের মিলিশিয়া ইউনিট আজভ ব্রিগেডের সদরদপ্তর হওয়ায় এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া অভিযানের শুরু থেকেই রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মস্কো ইউক্রেইনকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করার যে ঘোষণা দেয়, তা আজভ ও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কট্টর ডানপন্থি অংশকে লক্ষ্য করেই দেয়া বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সূত্র: ভিওএক্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।