গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ক্ষমতাসীনদের কারসাঁজিতে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা। কারণ বোরো কাটা হচ্ছে, দাম কমে আসার কথা। সেই জায়গায় চালের দাম বেড়ে গেছে। তার মানে ‘দেয়ার ইজ সাম প্রোভলেমস ইন প্ল্যানিং, টোটাল প্ল্যানিংয়ের মধ্যে প্রোভলেম আছে। সমস্যা হচ্ছে যে, এমন এমন লোককে এমন এমন দায়িত্ব দিয়েছে যারা যে ব্যবসা করেন তাদেরকে সেই দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে। এখন খাদ্য ব্যবসা যারা করেন তারা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন। ফলে যা হচ্ছে ওখানে ব্যবসাটা প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বড় বড় কৃষকেরা ধান মজুদ করছে, ব্যবসায়ীরা ধান মজুদ করছে। কারণ কিছুদিন পর ধানের দাম আরো বাড়বে এবং তাদের মুনাফা বাড়বে। এটাই কারসাঁজি ওদের।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সরজমিন হাওড় এলাকা পরির্দশন করে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে এবং হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা লুটপাট-সর্বশান্ত কৃষকের ক্ষতিপুরণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তারা।
হাওড় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণে সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, হাওড়ের সমস্যা আজকে নতুন না, এটা পুরনো সমস্যা। প্রায় প্রতিবছরই উজান থেকে চলে আসে পানির ঢল, গোটা এলাকা প্লাবিত হয়। যেখান থেকে পানি আসছে সেখান যদি প্রটেশন বা বাঁধ নির্মাণ করা যায় বা রিজার্ভার নির্মান করা যায় তাহলে সেখানে দুইটা কাজ হতে পারে। একটা হচ্ছে বাড়তি পানি আটকিয়ে রাখতে পারেন এবং সেটাকে পরবর্তিতে সেচের ব্যবস্থা করে একটা নয়, দুই-তিনটা ফসল করা যেতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত সেই ধরনের কোনো কর্মসূচি বা পরিকল্পনা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সমস্যা হলো, তারা সেই কাজগুলোই হাতে নেয় যেখানে তাদের নিজস্ব মুনাফা হয়, দুর্নীতি হয়, কমিশন পায়, লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা বানাতে পারে। হাওড় এলাকায় বাঁধ দেয়া হয়েছে। সেই বাঁধগুলো এতো ভঙ্গুর, খারাপ হয়েছে যে, চব্বিশ ঘন্টাও পানির চাপকে ধরে রাখতে পারে না। অর্থ্যাৎ সেখানে পুকুর চুরি তারা করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছিলো কৃষকদের বিনামূল্যে সার দেবে। ভোট নেওয়ার জন্য এই সমস্ত মুখরোচক কথা তারা অনেক বলেছে। সেটা তো দূরে থাক, তিন‘শ টাকার ইউরিয়া সার এখন ১২‘শ টাকায়ও পাওয়া যায় না। মেশিন বা পাওয়ার টিলারস, টিলারস এগুলো শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের লোকদের বিনা পয়সায় বিলি করেছে এবং সেখানে বড় রকমের দুর্নীতি করেছে। এই বিষয়গুলো দুর্ভাগ্যক্রমে সেইভাবে মিডিয়াতে আসে না। কৃষিতে যে দুর্নীতি হচ্ছে সেটা সহজে আসে না। দিসি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন কৃষি ও কৃষকদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সবাই বলি কৃষি সবচেয়ে বেশি আর্থিকখাতে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যক্রমে কৃষিকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও পরবর্তিকালে বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামল ছাড়া খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি ও কার্যক্রম কেউ গ্রহণ করেনি।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।