Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আবারও তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ১২:৩১ পিএম | আপডেট : ১২:৩৭ পিএম, ১৭ মে, ২০২২

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের তালিকা আবারও চাইলেন হাইকোর্ট। এদিকে একই বিষয়ে আজ (মঙ্গলবার) ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিরা।

মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তারা।

ডিসিদের ব্যাখার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ঢাকাসহ ৫ জেলার ডিসি আজ আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ঢাকার বাইরের চার জেলায় অবৈধ ইটভাটার শতকরা ৯৫ ভাগ ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। আর ঢাকার মধ্যে বন্ধ হয়েছে ৬৫ ভাগ। কিন্তু সরেজমিনে তদন্ত করে তাদের ব্যাখ্যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে দেখেছেন পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিবেদনে গড়মিল রয়েছে। পরে আদালত এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৩ সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালতের দেওয়া সময়ের মধ্যে কতগুলো ইটভাটা বন্ধ হয়েছে তার সঠিক হিসাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে আদালতের আদেশ অমান্য করায় এই পাঁচ জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। তাদের হাজিরার জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।

গত ২০ এপ্রিল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির আদালত অবমাননার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, এসব জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও বায়দূষণ রোধে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেননি ৫ জেলার ডিসি ও পরিবেশ অধিদফতরের ডিজি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।

২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকা ও এর আশপাশের ৫ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই ইটভাটা বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি কী কারণে বায়ু দূষণ হচ্ছে এবং দূষণরোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করতে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ