Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিকিৎসা ও ওমরা পালনের জন্য সাবেক সেনাপ্রধান হারুনকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিলেন হাইকোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:২৮ পিএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদকে চিকিৎসা ও ওমরা হজ পালনের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের জিম্মায় থাকা পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এখন বিদেশ যেতে পারবেন। তবে চার মাসের মধ্যে ফিরে এসে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। ২০২২ সালের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। যা গত বছরের ৯ জুন আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পরে গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। মামলায় ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন পলাতক রয়েছেন।



 

Show all comments
  • সত্য কথা ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৫ পিএম says : 0
    বিদেশ ভ্রমণের খরচটাও দিয়ে দিতো.... হাজার হাজার কোটি টাকা চুরির আসামীকে কি হালে রেখেছে.... আর আলেমদের জোটে ডান্ডাবেড়ি.... কি সাজার ধরণ... ২০০ কোটি টাকা জরিমানন.. অনাদায়ে আরো ৩ বছরের জেল.. আহাহা... বেশি হয়ে গেছেনা জেল জরিমানা? ধিক এই মানুষের তৈরি বাচারব্যাবস্থাকে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ