Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগুন থামান নইলে সবাইকে জ্বলতে হবে

আদালত অবমাননার শুনানিতে হাইকোর্ট

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আগুন থামাতে বললেন হাইকোর্ট। অন্যথায় এ আগুনে সবাইকে জ্বলতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার তিন আইনজীবীর আদালত অবমাননা শুনানি চলাকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। হাইকোর্ট আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীরা যে আচরণ করেছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এ ধরণের ঘটনা অব্যাহত থাকলে আইন-আদালত বলে কিছু থাকবে না। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন। আইনজীবী নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করে আদালত আরো বলেন, কেউ কোনো কোর্ট বর্জন করবেন না। সবাই মিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আগুন থামান। অন্যথায় আমাদের সবাইকে জ্বলতে হবে।

শুনানি শেষে আদালত বিচারককে সরকারপন্থি আইনজীবী নেতাদের অশ্রাব্য গালাগাল ও অশালীন আচরণের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। এর আগে সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন আদালতে বলেন, ব্্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সংঘটিত নজিরবিহীন এই ঘটনা একই সঙ্গে আদালত এবং আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুণœ করছে। গতকাল মঙ্গলবার জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত বিচার বিভাগের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল থাকার আহŸান জানান। পরে তিন আইজীবীর বিরুদ্ধে দেয়া আদালত অবমাননা রুলের শুনানির তারিখ ধার্য করেন আগামি ১৪ ফেব্রæয়ারি। আদালত তার আদেশ দ্রæত বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি) কে বাস্তবায়ন করতে বলেন। এ সময় ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর আহমেদ ভুঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

সরকারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। শুনানিতে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আদালত ও আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুণœœ হচ্ছে। আমরা এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামের ব্যাখ্যার ওপর শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আগামি ১৪ ফেব্রæয়ারি।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠানো বিচারকের অভিযোগ বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়।

আবেদনে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক কর্তৃক অত্র কোর্টে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয় যে, তিনি গত ২ জানুয়ারি সকালে যথাসময়ে বিচার কার্য পরিচালনার জন্য এজলাসে আরোহণ করে দৈনন্দিন কার্য তালিকায় নির্ধারিত মামলাসমূহের শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এজলাস চলাকালে বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঞা, সম্পাদক প্রশাসন অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী, অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামসহ আনুমানিক ১০/১৫ জন আইনজীবী আসেন এবং তারা অশালীন ও অসৌজন্যমূলকভাবে তাকে এজলাস হতে নেমে যাওয়ার জন্য বলেন। বারের সভাপতি আদালতকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন।

এসময় আদালতের এজলাসে কোর্ট ইন্সপেক্টর, আদালতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, আদালতের কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সদস্য ঘটনাটি ভিডিও করেন। পরে ভিডিওটি তার হস্তগত হয়। তার দরখাস্তের অংশ হিসেবে ভিডিও ক্লিপটি তিনি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন।

আবেদনে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্য আইনজীবীগণ কর্তৃক এজলাস চলাকালীন সময়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকগণের নিরাপত্তা, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি এবং শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উক্ত অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া আবশ্যক। এজলাস চলাকালীন সময়ে আদালতে বিচারক ও কর্মচারীগণকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের জন্য আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদনটি ৪ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টে পাঠান।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী নেতাদের দ্বারা বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ, বিচারকের প্রতি অশালীন আচরণের ঘটনায় বিচারক এবং আইনজীবীদের মধ্যকার সৃষ্ট পরিস্থিতি নিরসনে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

বৈঠক সম্পর্কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বার কাউন্সিল এ বিষয়ে আগের চেয়ে সচেতন। বার ও বেঞ্চের সুসম্পর্কের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, লইয়ার এবং লার্নার জুডিশিয়ারি একে অপরের পরিপূরক। বিচারাঙ্গনে সুন্দর একটা পরিবেশ থাকাটা বাঞ্ছনীয়। মিথ্যা রটানো ঠিক নয়। যারা এগুলো করছে তাদের সুন্দর মন নিয়ে সামনের দিকে এগোনেই ভালো। এটা জুডিশিয়ালের জন্য ভালো হবে। তিনি বলেন, এগুলো বিভিন্ন সময়ে হয়। তবে আমরা চাই, যাতে এসব আর না হয়। চেষ্টা করছি সমাধানের জন্য। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা নয়। গত একবছরে আইনজীবী এবং বিচারকদের মধ্যে একাধিকবার দ্বা›িদ্বক প্ররিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলাম দুলাল গত বছর ২ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি জামিনের আবেদন নিয়ে যান। ওই জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে ক্ষেপে গিয়ে বিচারককে হুমকি দেন। বিচারকও তাৎক্ষণিক এজলাস থেকে নেমে যান। পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে ঘটনার সুরাহা হয়।

এছাড়া গত বছর খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে এমন একটি ঘটনা ঘটে। বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণকে ভবিষ্যতে ক্ষমা করা হবে না বলে তখন জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গতবছরের শেষ দিকে খুলনায় জেলা জজ আদালতের এক বিচারকের সঙ্গে খুলনা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা বারের সভাপতি সাইফুল ইসলাম আইনজীবীর অসদাচরণের ঘটনা ঘটে। তিনি বিচারককে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। এ প্রক্ষিতে গত বছর ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানিতে আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট কড়া সতর্কবার্তা দেন। এবং এই বার্তা দেশের সব জেলা আইনজীবী সমিতিকে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেয়া হয়।

পিরোজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন পিরোজপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (সরকারপক্ষীয় আইনজীবী) খান মো. আলাউদ্দিনকে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার প্রেক্ষিতে আদালত তাকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেন। এ সময় ওই পাবলিক প্রসিকিউটরের উদ্দেশ্যে আদালত বলেছিলেন, পিরোজপুরের পিপি একজন বিচারকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা রাষ্ট্রের জন্য কলঙ্ক। বিচার বিভাগের জন্য কলঙ্ক। এ ধরনের আচরণ মেনে নেয়া যায় না।

আইনজীবী-বিচারকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার চ‚ড়ান্ত দৃষ্টান্ত হিসেবে অবতারণা ঘটে গত ১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল, পরবর্তীতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে বিচারক শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে মিছিল-সেøাগান দেয়া হয়। ঘটনার পর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশন কড়া প্রতিবাদ জানায় ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। বিচারকগণ প্রতিবাদস্বরূপ বিচার বিভাগীয় অনেক কর্মকর্তা তাদের প্রোফাইলে কালো ছবি দিয়ে রাখেন।

আইনজীবী ও বিচারকদের মুখোমুখি অবস্থান সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এখন মিডিয়ার সংখ্যা বেড়েছে। মিডিয়া ছাড়াও যেকোনো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার হয়। তার জন্যে যে কোনো ঘটনা দ্রæত প্রকাশ হয়। মানুষজন বেশি বেশি জানে। এমন ঘটনা আগেও ঘটতো। তখন মিডিয়া জানত না। আর সেটা এতো গুরুত্ব পেত না। এখন যেখানেই হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিচারকের বিচার করার স্বাধীনতা আছে। বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবী সমাজ দুর্ব্যবহার করে না। এক-দু’জন যারা করে, তাদের আমরা প্রশ্রয় দিই না। বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে যাদের মামলা, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হন।



 

Show all comments
  • Clear Man ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০২ এএম says : 0
    ওই জেলার জন্য আলাদা একটা চ্যানেল খোলা দরকার। আর প্রতি গ্রামে গ্রামে একজন করে সাংবাদিক দেওয়া দরকার যাতে একটি ও খবর মিস না হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraful Islam ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৩ এএম says : 0
    যারা গালাগালি হুমকি ধামকি দিয়েছে তাদের বিচারের আদেশ না দিয়ে উলটো ভিডিও সরানোর আদেশ দেয়
    Total Reply(0) Reply
  • Shahidul Islam Munshi ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০২ এএম says : 0
    বিচার কি হল। ভিডিও ছিল বলেই তো বিচারালয় নৈরাজ্য দেখা গেল। অপরাধীর কোন বিচার হ ল না। এটি বিচার বিভাগের জন্য অশনি সংকেত।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohmmed Dolilur ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:০২ এএম says : 0
    ঘুষখোর যারা তাদের পক্ষে কি সঠিক বিচার করা সম্ভব,ক্ষেতে চারপাশে বেড়ি দেয় ফসল রক্ষার জন্য কিন্তু ক্ষেত যদি বেড়ি খেয়ে ফেলে ফসল কি করে বাঁচাবে,আবার বেড়ি যদি ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলে তাতে কি করবেন,বর্তমানে সবাই টাকার পাগল ফ্ল্যাটের পাগল গাড়ি ও বিলাস আরামের পাগল,একজন সত ও নিষ্ঠাবান বেকতি কি আছে যে বলতে পারবে আমি ইমানের সাথে বলছি আমি একজন ইমানদার।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohmmed Dolilur ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:১৮ এএম says : 0
    ঘুষখোর যারা তাদের পক্ষে কি সঠিক বিচার করা সম্ভব,ক্ষেতে চারপাশে বেড়ি দেয় ফসল রক্ষার জন্য কিন্তু ক্ষেত যদি বেড়ি খেয়ে ফেলে ফসল কি করে বাঁচাবে,আবার বেড়ি যদি ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলে তাতে কি করবেন,বর্তমানে সবাই টাকার পাগল ফ্ল্যাটের পাগল গাড়ি ও বিলাস আরামের পাগল,একজন সত ও নিষ্ঠাবান বেকতি কি আছে যে বলতে পারবে আমি ইমানের সাথে বলছি আমি একজন ইমানদার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ