মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী রোগ করোনাভাইরাসে সোমবার বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে উত্তর কোরিয়াতে এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় এই দিন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাজ্যে।
বিশ্বে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার উত্তর কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৯৩০ জন এবং এ রোগে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
অন্যদিকে এ দিন যুক্তরাজ্যে কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মারা গেছেন ১৭৬ জন এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১ জন।
এছাড়া সোমবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৩৭ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মারা গেছেন ১ হাজার ১১২ জন। এ সংখ্যা আগের দিন রোববারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
রোববার বিশ্বে করোনায় নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার ৩৩০ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ৫৪৮ জনের।
তবে আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সোমবার বেড়েছে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও। এ দিন বিশ্বজুড়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬ লাখ ৪৩৭ জন। আগের দিন রোববার এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ১৯ হাজার ১৮৫ জন।
উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাজ্য ব্যতীত অন্যান্য যেসব দেশে সোমবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার লক্ষ্য করা গেছে সেসব হলো— যুক্তরাষ্ট্র (নতুন আক্রান্ত ৬৪ হাজার ৪০০ জন, মৃত ১০৭ জন), তাইওয়ান (নতুন আক্রান্ত ৬১ হাজার ৭৫৩ জন, মৃত ২৯ জন), অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৪২ হাজার ৪৫ জন, মৃত ১৩ জন), জাপান (নতুন আক্রান্ত ৩৪ হাজার ৮৪৫, মৃত ২২ জন), ফ্রান্স (মৃত ১২৬, নতুন আক্রান্ত ৫ হাজার ৯৩৬) ও ইতালি (মৃত ১০২, নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজার ৬৬৮)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ১৮০ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৬ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৯ হাজার ১৫৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের তথ্য বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫২ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৩১৬ জনের।
এছাড়া, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪৯ কোটি ২৮ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।