মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কলকাতার কোর্ট থেকে বাংলাদেশের ব্যাংক জালিয়াত পি কে হালদারকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়ার পর ইডির তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, সে ভাঙবে তো মচকাবে না। আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ আরো ৫ জনকে। তার আগে লাগাতার জেরা করে যতটা সম্ভব তথ্য আহরণ করার চেষ্টা করছেন ইডির ইনভেস্টিগেশন অফিসাররা। কিন্তু, এক ইডি জেরাকারীর কথায়, পি কে হালদার এ হার্ড নাট টু ক্র্যাক অন। জেরায় ভাঙছে, কিন্তু মচকাচ্ছে না। কোলকাতা থেকে প্রাপ্ত সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেরায় পি কে হালদার নাকি স্বীকার করেছেন তার বাংলাদেশে বিপুল সম্পদের কথা। এর মধ্যে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে দুশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হোটেল, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিঘার পর বিঘা জমি, ময়মনসিংহে চার একর জমি, ঢাকার পূর্বাচলে ষাট বিঘা জমি, ১১ তলা একটি মার্কেট প্লাজা, রাঙামাটিতে তিনশো কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মিত রিসোর্ট, কয়েকটি ফ্ল্যাট যার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। এছাড়াও ব্যাংকে একশো কোটি টাকা থাকার কথা নাকি জেরায় জানিয়েছেন পি কে হালদার। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইডির ৮ জন অফিসার পালা করে জেরা করছেন পি কে হালদারদের। কখনও একা, কখনও দুজনকে একসঙ্গে বসিয়ে অথবা মিলিতভাবে। কিন্তু, কিভাবে ভারতে ভুয়া সব পরিচয়পত্র করিয়েছিলেন পি কে হালদার তার হদিন এখনও মেলেনি
হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কিভাবে বাংলাদেশ গিয়েছিলো তারও তথ্য মেলেনি। পি কে হালদারের সঙ্গে যাদের জেরা চলছে এদের মধ্যে আছে স্বপন মৈত্র ওরফে মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও প্রাণেশ হালদার। ইডির সন্দেহ ধৃত নারী পি কে হালদারের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা হতে পারে।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, জেরায় ভারত, বাংলাদেশ ও কানাডার পাসপোর্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন পি কে হালদার। এটাও জানিয়েছেন যে, ইন্টারপোলের রেড কর্নার অ্যালার্ট জারি হওয়ার এক ঘণ্টা আগে তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে আসেন। তারপর ভারতীয় পাসপোর্টের সাহায্যে কানাডা যান। ফিরে এসে শিবশঙ্কর নামের আড়ালে অশোকনগরে জাঁকিয়ে বসেন। তার আধার, ভোটার, প্যান সব কার্ড শিবশঙ্কর নামে। জেরায় পি কে হালদার নাকি স্বীকার করেছেন তার বাংলাদেশে বিপুল সম্পদের কথা।
এর মধ্যে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে দুশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হোটেল, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিঘার পর বিঘা জমি, ময়মনসিংহে চার একর জমি, ঢাকার পূর্বাচলে ষাট বিঘা জমি, ১১তলা একটি মার্কেট প্লাজা, রাঙামাটিতে তিনশো কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মিত রিসোর্ট, কয়েকটি ফ্ল্যাট যার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। এছাড়াও ব্যাংকে একশো কোটি টাকা থাকার কথা নাকি জেরায় জানিয়েছেন পি কে হালদার। এক ইডি আধিকারিকের কথায় জেরায় বারবার উঠে এসেছে অমিতাভ অধিকারী ও অতসী মিস্ত্রির নাম। ইডি বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে সবটাই জানাচ্ছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার কোর্টে তোলা হতে পারে পি কে হালদারদের। ভারতে ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার, ভুয়া কোম্পানি খোলা এবং হুন্ডিতে কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পাচার করা নিয়ে ভারতে মামলা হবে। ২০১৩ সালের ভারত-বাংলাদেশ বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী পি কে হালদারকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে আরো তিন থেকে ছয় মাস লাগতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।