মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবিলম্বে ন্যাটোয় যোগ দিতে আবেদন জানাবে ফিনল্যান্ড। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন এই ঘোষণা করেন। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে প্রায় ১২৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে রাশিয়ার। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘোষণায় ক্ষিপ্ত রুশ প্রশাসন। তাদের হুমকি, ফিনল্যান্ড এমন কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করলে পাল্টা জবাব দিতে পিছুপা হবে না তারাও। অদূর ভবিষ্যতে ফিনল্যান্ডের পড়শি সুইডেনও একই পথে হাঁটতে চলেছে বলেমত কূটনীতিকদের।
ন্যাটোর সঙ্গে হাত মেলানোর ইচ্ছে আগেই প্রকাশ করেছিল ফিনল্যান্ড। সম্প্রতি পার্লামেন্টে জমা পড়া জাতীয় নিরাপত্তা রিপোর্টে এই সম্ভাবনার উল্লেখ থাকার পরে সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়। ন্যাটোয় যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাওলি নীনিস্তো ও প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিনের যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তার বয়ান অনুযায়ী, ‘‘ন্যাটোর সদস্যপদ ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে। পরিবর্তে ন্যাটোর সদস্য হিসেবে গোটা প্রতিরক্ষা সঙ্ঘটির শক্তি বাড়াবে ফিনল্যান্ডও। দেরি না-করে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন জানানো উচিত দেশের। আমরা আশা করছি, রাষ্ট্রের তরফে এর জন্য যে-যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’’
এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে গর্জে উঠেছে রাশিয়াও। ওই দিনই দেশের বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা বলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘‘এই ধরনের পদক্ষেপের ঠিক কতটা দায়িত্ব এবং তার কী পরিণতি হতে পারে, দুইয়ের কথাই যেন মাথায় রাখে হেলসিঙ্কি।’’ পাশাপাশি ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘‘আমরা আগেও বহুবার বলেছি, ন্যাটোর বিস্তার বিশ্বকে মোটেও আরও স্থিতিশীল এবং নিরাপদ করে তুলবে নাল বরং হবে উল্টোটাই।’’
তবে তিনি এ-ও উল্লেখ করেন যে, সীমান্ত এলাকায় ন্যাটোর কার্যকলাপের উপরেই নির্ভর করবে রাশিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘রুশ সীমান্তের ঠিক কতটা কাছে ন্যাটো নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে তা দেখেই রাশিয়া নিজেদের পদক্ষেপ করবে।’’ বিশেষজ্ঞদের মত, ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদান উত্তর ইউরোপের স্থিতাবস্থার মারাত্মক পরিপন্থি হয়ে দাঁড়াতে পারে। খানিকটা সে দিকেই ইঙ্গিত করে পেসকোভের আরও মন্তব্য, ‘‘সকলেই চায় রাশিয়া আর ন্যাটো এবং বিশেষত ওয়াশিংটনের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে। তবে ইউক্রেনে দেশের ‘বিশেষ অভিযানে’ যে-ই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে তাদের ছেড়ে কথা বলবে না রাশিয়া।’’ প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশকে ন্যাটোভুক্ত করার দাবি বেড়েছে ফিনল্যান্ডবাসীদের মধ্যে। মাত্র ৩০% থেকে তা হয়েছে প্রায় ৮০%!
ন্যাটোর তরফে সংগঠনের প্রধান জেন্স স্টোলেনবার্গ ফিনল্যান্ডের সিদ্ধান্তকে সাদরে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি ফিনল্যান্ডের একটি সার্বভৌম সিদ্ধান্ত যেটাকে সম্পূর্ণ সম্মান জানাচ্ছে ন্যাটো এবং তাদের যোগদান প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শেষ করা হবে।’’ স্টোলেনবার্গের আশা, রাশিয়ার চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে সুইডেনও খুব তাড়াতাড়িই ন্যাটোর হাত ধরবে। সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।