মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান সুপ্রিম কোর্টের (এসসি) রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন যা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের রায়কে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে।
রিভিউ পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সংবিধানের ৬৬, ৬৭ এবং ৬৯ অনুচ্ছেদের ধারা ২৪৮ এর সাথে পঠিত বিধানগুলো অনুধাবনে ভুল করেছে যা উচ্চ আদালতকে সংসদের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে এবং/অথবা প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এবং জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ করতে বাধা দেয়।
‘সংবিধানের উপরে উল্লিখিত অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত এখতিয়ারের দ্ব্যর্থহীন বাধার কারণে বিবৃত প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চের এখতিয়ারের অধীনস্থ এবং জবাবদিহি করতে পারে না’-পিটিশনটিতে বলা হয়েছে।
‘সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের ম্যান্ডেটকে উপলব্ধি করতে ভুল করেছে যা নিশ্চিত করে যে সংসদ, সেইসাথে তার সদস্য/কর্মকর্তারা, প্রেসিডেন্ট এবং সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী, তাদের কার্যাবলী এবং বিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগের আগে জবাবদিহি করতে পারবেন না। সংবিধানের অধীনে যেকোন আদালতের সামনে কোনো আদালত বা তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পালনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না’। আপিলে বলা হয়েছে, শীর্ষ আদালতের দ্বারা প্রয়োগ করা সম্পূর্ণ এখতিয়ার সংবিধানের ১৭৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
‘এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কর্তৃক জারি করা রায়টি ৫ অনুচ্ছেদের প্রয়োগের জন্য ছিল... এর সাথে আবেদনকারীর [ইমরান খান] কোনো সম্পর্ক ছিল না, যিনি নির্বাহী প্রধান। ডেপুটি স্পিকারের কার্যাবলী বা রায়ের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই’, আপিল বিভাগ দাবি করেছে।
‘প্রকৃতপক্ষে, স্পিকার প্রত্যায়িত করেছিলেন যে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনো ‘অনাস্থা প্রস্তাব’ মুলতবি ছিল না। এরপরে পিটিশনকারী জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন; স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা রেকর্ডে কোনো প্রমাণ নেই। অন্য কোনো কার্যক্রমে যে বিবৃত পদক্ষেপটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বা আইন ও সংবিধানের বিরুদ্ধে। এমনকি অন্যথায় ২৪৮ অনুচ্ছেদের অধীনে আবেদনকারী তার সাংবিধানিক ক্ষমতা/দায়বদ্ধতার প্রয়োগের জন্য কোনো আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে পারবেন না’।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তার আবেদনে আরো বলেন যে, আদালত এমনভাবে এখতিয়ার প্রয়োগ করেছে যা ‘অভ‚তপূর্ব কারণ এটি একটি রেজিমেন্টেড পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য ৩৪২ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত সমগ্র জাতীয় পরিষদকে নির্দেশ জারি করেছে’।
শীর্ষ আদালত ‘তাদের অধিকার/বিচক্ষণতা যেমন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার স্রাব’ হ্রাস করেছে, আপিল বলেছে, ‘হস্তক্ষেপ এবং বা নির্দেশনা, সম্মানসহ, সংবিধান অনুসারে নয়’।
যে কোনো বিশদ কারণের অভাবে অপ্রকৃত আদেশটি সংবিধানের ১৮৯ অনুচ্ছেদের সাথে পঠিত অনুচ্ছেদ ১৮৪(৩) এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারিক সংকল্প নয়।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ১৮৪ এবং বা ১৮৬ অনুচ্ছেদের বিধানগুলোর সাথে পঠিত উল্লিখিত বিধিগুলোর আদেশ-এর অধীনে, সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বেঞ্চ, কোনো আদেশ দ্বারা, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাগুলো সরাসরি পালন করতে পারে না, সংবিধানের অধীনে সাংবিধানিক পদের পদধারীদের দ্বারা; সংবিধানের ২৪৮ অনুচ্ছেদের সাথে পড়া ৬৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে সাংবিধানিক সুরক্ষা এবং ক্ষতিপূরণ ভোগ করে এমন বাধ্যবাধকতাগুলো। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।