মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছেলে-মেয়েকে বড় করেছেন সারা জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করে। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে কাটাতে হচ্ছে একাকী জীবন। নাতি-নাতনিরা খেলে বেড়াচ্ছে না তাদের সঙ্গে। তাই পুত্র আর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন ভারতের হরিদ্বারের প্রবীণ দম্পতি। না, ছেলে বা ছেলের বউ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, এমন অভিযোগ করেননি দম্পতি। বরং তাদের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম দিতে অনিচ্ছুক তাদের ছেলে ও বৌমা। তাই তারা বিচার চান।
হরিদ্বারের এসইজে এসডি তৃতীয় আদালতে এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সঞ্জীবরঞ্জন প্রসাদ এক সময়ে সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তার এক ছেলে। অবসর নেয়ার পর সঞ্জীব ও তার স্ত্রী সাধনা হরিদ্বারের একটি আবাসনে থাকেন। তাদের অভিযোগ, আর্থিক ভাবে যথেষ্ট সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তাদের পুত্র ও পুত্রবধূ তাদের জীবনে কোনও সন্তান চান না।
সঞ্জীবের আইনজীবী অরবিন্দকুমার শ্রীবাস্তব জানান, প্রবীণ দম্পতির ছেলে শ্রেয় সাগর বিমানসংস্থায় কাজ করেন। ২০১৬ সালে শ্রেয় বিয়ে করেন নয়ডার বাসিন্দা শুভাঙ্গী সিংহকে। সঞ্জীব-সাধনার দাবি, বিয়ের পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু ছেলে ও বৌমা সন্তানের জন্ম দিতে চান না। এ দিকে বৃদ্ধ দম্পতি চরম একাকিত্বে ভুগছেন। এ নিয়ে বৃদ্ধ বয়সে তাদের মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। সঞ্জীব আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
তার দাবি, ছেলের লালন-পালন ও শিক্ষায় তিনি সারা জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করেছেন। ছেলে যদি বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মায়ের সুখের কথা না ভাবে, নাতি-নাতনির মুখ যদি তারা দেখতেই না পান, তা হলে শ্রেয় যেন তার ৫ কোটি রুপি ফেরত দেন। এ টাকা তিনি শ্রেয়র শিক্ষা-দীক্ষা এবং লালন-পালনে ব্যয় করেছিলেন বলে দাবি। আদালতে আইনজীবী দাবি করেন, ছেলেকে উপযুক্ত করে তৈরি করার পরও যদি বাবা মায়ের মানসিক অবস্থা এমন হয় তবে তা অত্যাচারেরই শামিল।
এ দিকে ভারতবর্ষে তরুণ দম্পতিদের মধ্যে সন্তান জন্মদানের ইচ্ছে কমছে বলেই মনে করছে সাম্প্রতিক গবেষণা। বৃদ্ধ দম্পতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ মে তারিখ ধার্য করা হয়েছে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।