পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক বাজার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তৈরি মানসম্মত ও জনপ্রিয় পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার আরব-আমিরাত। বিশেষ করে দেশটির আজমান প্রদেশের নয়া সানাইয়ায় বাংলাদেশি (বাঙালি মার্কেট) মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এর বড় একটি অংশের যোগান দিয়ে থাকেন এখান থেকে। মূল মার্কেটসহ এর আশপাশে রয়েছে ৪ শতাধিক বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের দোকান। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অপূর্ব ভান্ডার হিসেবে পরিচিত এ মার্কেটটির সুনাম-সুখ্যাতি রয়েছে পুরো আমিরাতেই। এ মার্কেটে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সউদী আরব, ইরান, ওমান, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জর্ডান, মিসর, তুর্কি এবং আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কিনতে আসেন এখানে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় এ মার্কেটটিতে বেচা-বিক্রি ছিল বেশ জমজমাট। এতে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা দেশ থেকে ব্যাপকভাবে পোশাক শিল্প আমদানি করতেন এখানে। তারা আরো জানান, আগে এ মার্কেটটিতে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে আসা কমপক্ষে ২৫/৩০টি পোশাক ভর্তি কন্টেইনার খালাস করা হতো। প্রতিদিন বিক্রি করা হতো লাখ লাখ দিরহামের দেশীয় পোশাক। অথচ দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের নৌবন্দরে নানা রকম জটিলতায় কার্গো জাহাজের মাধ্যমে আগের মতো পোশাক ভর্তি কন্টেইনার আনতে না পারায় এবং সময় খুব বেশি লেগে যাওয়ায় বাজার চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো সরবরাহ করতে না পারায় একদিকে যেমন তারা আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারছেন না অন্যদিকে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারটি ধরে রাখাও তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে কিছু ব্যবসায়ীর পোশাক ভর্তি কন্টেইনার আসতে শুরু করেছে। যা আরো দু’মাস আগেই আসার কথা ছিল বলে জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকারের সুষ্ঠু ও সহজ ব্যবস্থাপনা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি পোশাকের মূল্য, পরিবহন ভাড়া ও শুল্ক কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাজার প্রতিযোগিতায় ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী এদেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বাজারজাত করার বা সুযোগ তৈরি করে দিলে সুনামের পাশাপাশি আরব আমিরাতে আরো ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।