নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাজটি বাংলাদেশের জন্য দুঃসাধ্য। টেস্ট ক্রিকেটে দুই দশকের বেশি পথচলায় এক সিরিজে দুই টেস্টেই জয় ধরা দিয়েছে কম সময়ই। একটি টেস্ট জিততে পারাও অনেক সময় এই দলের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এবার সেখানে লক্ষ্য নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। দুই ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় বাংলাদেশ।
একাধিক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ৫৯টি। সিরিজে একাধিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা ¯্রফে তিনবার। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ক্যারিবিয়ানদের খর্বশক্তির দলের সঙ্গে প্রথমবার, ২০১৮ সালে দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই আরেক দফায়। দুবারই ছিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এর বাইরে ২০১৪ সালে দেশের মাঠেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে জয় ধরা দিয়েছিল সব ম্যাচে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে একাধিক জয় তো বহুদূর, ২২ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয়ই কেবল একটি। সেই ২০১৭ সালে দেশের শততম টেস্ট ম্যাচের সেই স্মরণীয় জয়। ওই জয়ের পর ২০১৮ সালে দেশের মাঠেই শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ, সিরিজ হেরেছে গত বছর শ্রীলঙ্কায় গিয়েও। এবার অতীতের সবকিছুকে ছাড়িয়ে দুই টেস্টেই জয় চায় দল, বলছেন জেমি সিডন্স। তবে চাইলেই যে সম্ভব নয়, সেই বাস্তবতাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ, ‘শ্রীলঙ্কা খুব ভালো বোলিং দল, খুব ভালো ব্যাটিং দলও। ওদের সঙ্গে লড়াই করতে হলে এবং টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে নিজেদের খেলার চ‚ড়ায় থাকতে হবে আমাদের। আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই দেশের মাঠে দুটি টেস্ট ম্যাচই জেতা। দেশের মাঠে আমরা সবসময়ই সব ম্যাচ জিততে চাই। তবে বাস্তবতা হলো, এটা সবসময় হয় না। আমরা ভালো খেলব। এই দলগুলির বিপক্ষে আমরা আত্মবিশ্বাসী। চট্টগ্রামেও আমাদের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে, এখানে ভালো ক্রিকেট খেলি আমরা। প্রতিটি দিন মাঠে নেমে খুব ভালো ও কঠিন ক্রিকেট খেলাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। তার পর দেখা যাবে, দিন শেষে কী হয়।’
এমন এক সময়ে এই সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, দলের আত্মবিশ্বাস যখন খুব একটা ভালো থাকার কথা নয়। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দল হোয়াইটওয়াশড হয়েছে তো বটেই, প্রোটিয়াদের দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মারের বোলিংয়ে ¯্রফে বিধ্বস্ত হয়েছে ব্যাটিং। লঙ্কানদেরও মূল শক্তি স্পিন আক্রমণ। খেলা যদিও দেশের মাঠে এবার, তবু ব্যাটিং নিয়ে দুর্ভাবনার জায়গা থাকছেই। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর লাল বলে খেলার সুযোগও খুব একটা পাননি ক্রিকেটাররা। শুরুতে সবাই খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একদিনের কয়েকটি ম্যাচ। এরপর ছিল ঈদের ছুটি। প্রস্তুতি বলতে নিজেদের মতো করে টুকটাক অনুশীলন আর টেস্টের আগে চট্টগ্রামে কয়েকদিনের সেশন।
সিডন্স অবশ্য এই প্রস্তুতিকেই যথেষ্ট মনে করছেন। টেস্টের আগে বাকি দিনগুলোকেও ভালোভাবে কাজে লাগাতে চান তিনি কথা ও কাজে। এই সিরিজে ব্যাটসম্যানদের কাছে তার চাওয়া প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ঢাকা লিগে রান করেছে। (সাদা বলে হলেও) অন্তত ওরা ব্যাটিংয়ে ছিল, রান করেছে, আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। এখানে চার-পাঁচ দিন সময় আছে আমাদের (প্রস্তুতির জন্য)। এখনও পর্যন্ত দারুণ দুটি দিন কেটেছে (অনুশীলনে)। ব্যাটিং নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি আমরা, টুকটাক কিছু জায়গা নিয়ে কাজ করেছি। এখনও আলোচনার অনেক কিছু বাকি আছে। আরও তিনটি দিন আছে সামনে অনুশীলনের। আমার মনে হয়, এটা যথেষ্টরও বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফর ছিল লম্বা। টেস্ট ক্রিকেটে খুব ভালো খেলিনি আমরা। তবে ক্রিকেটে ভালো সময় আসে, খারাপ সময় আসে। কয়েকটি বাজে দিন এসেছে, এ কারণে আমাদেরকে খুব খারাপ মনে হয়েছে। তবে টেস্ট ম্যাচেও আমরা ভালো কিছু পারফরম্যান্স দেখিয়েছি। তাইজুল ৯ উইকেট নিয়েছে ম্যাচে, জয় অসাধারণ একটি সেঞ্চুরি করেছে, ওর ক্যারিয়ারের সবে শুরু। প্রথম ইনিংসে ভালো কিছু শুরু পেয়েছি আমরা, দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করিনি। এখানে এটাতেই মূল মনোযোগ, প্রথম ইনিংস আরও বড় করা হবে আমাদের জন্য গুরুত্বপ‚র্ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।