Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ

শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থায় কূটনীতিকদের উদ্বেগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২২, ১২:০৪ এএম

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপাকসের পদত্যাগের দাবিতে তাদের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এতে অংশ নেয়া লোকজন পতাকা নেড়ে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সেøাগান দেন। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে বিক্ষোভকারীরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের প্রতীকী শেষকৃত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আগের জরুরি অবস্থায় প্রেসিডেন্টকে সেনা মোতায়েনের মতো বৃহত্তর ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। এছাড়া, বিনা অভিযোগ যেকোনো ব্যক্তিকে আটক ও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতাও দেয়া হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার চলমান সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে, তাদের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও পানিকামান ব্যবহার করে পুলিশ। দেশটিজুড়ে ধর্মঘট ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ফলে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে দেশটিতে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারে জরুরি অবস্থা চলছে। আর পুরো সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করছে বিক্ষোভকারীরা। দেশটিজুড়ে ধর্মঘট ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ফলে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে দেশটিতে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারে জরুরি অবস্থা চলছে। আর পুরো সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করছে বিক্ষোভকারীরা। এদিকে, শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের শক্তি ব্যবহারের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কূটনীতিক ও অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। জরুরি অবস্থা জারিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শনিবার টুইট করেছেন শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জুলি চুং। তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দাবি শুনতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কানরা যে বাস্তব চ্যালেঞ্জের মুখে এবং যেসব অভাবে রয়েছেন তা সমাধান করে দেশকে সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার পথে ফিরিয়ে নিতে হবে। সেটা করার জন্য জরুরি অবস্থা কোনো সাহায্য করবে না। কানাডার দূত ডেভিড ম্যাকিনন বলেছেন, গণতন্ত্রের অধীনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার অধিকার আছে শ্রীলঙ্কানদের। প্রথমে তাদের বিক্ষোভ কি জন্য প্রয়োজন সেটা অনুধাবন করতে হবে, তারপরেই আসে জরুরি অবস্থার বিষয়। প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ধর্মঘট আহ্বান দোকানপাট, অফিস, ব্যাংক, স্কুল বন্ধ রাখা হয় শুক্রবার। এদিনই প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা জারি করেন। প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবার যদি ১১ই মের মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে তখন থেকে টানা ধর্মঘট করার ঘোষণা দিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলো। শনিবার সরকার বলেছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমফে, অন্যান্য এজেন্সি ও সরকারগুলোর সাথে আর্থিক সহযোগিতা ও ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে সমঝোতামূলক আলোচনা করা যাবে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবেগের বশে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে তাতে জননিরাপত্তা হুমকিতে। এ পরিস্থিতি শুধুই অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও বেশি খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রয়টার্স,এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রীলঙ্কা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ